রেস্তোরাঁর খাবার অর্ডার করে তাতে, সাপ ব্যাঙ, টিকটিকি, আরশোলা, এমনকি ব্যবহৃত জাঙিয়াও পেয়েছেন কত মানুষ। তবে এমন ঘটনা নিশ্চয়ই শোনেননি! হোটেলকে বদনাম করার ভয় দেখিয়ে মজা পাওয়ার জন্য, রেস্তোরাঁর অর্ডার করা খাবারে নিজেই মরা ইঁদুর মিশিয়ে (dead rat in meal) দিলেন ক্রেতা! ধরা পড়ার পরে সব ঘটনাই স্বীকার করেছেন গুও নামের ওই ক্রেতা ভদ্রলোক। গত বছরের নভেম্বরে গুও, হেইদিলাও নামে চিনের জনপ্রিয় একটি রেস্তোরাঁ থেকে আনা খাবারে নিজের সংগ্রহে রাখা একটি মরা ইঁদুর মিশিয়ে দেন। সাংহাইস্ট (Shanghaiist) জানিয়েছে যে, এই ঘটনাটি ঘটেছে বেজিং শহরে।
অক্সফোর্ড অভিধানে ঠাঁই পাওয়া ভারতে সবচেয়ে ব্যবহৃত নয়া শব্দ কী? ‘চাড্ডি'!
সূত্রের খবর, গুও তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে হেইদিলাও (Haidilao) আউটলেটে যান। সেখানে খাবার অর্ডার করে, খেতে বসার ২০ মিনিট পর তাঁরা জানান, খাবারের মধ্যে থেকে মরা ইঁদুর পেয়েছেন তাঁরা! রেস্তোরাঁটি প্রথমে তাঁকে বিনামূল্যে খাবারের একটি ফ্রি ভাউচার দেয়, যা গুও প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর ওই রেস্তোরাঁ ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২০,০০০ ইউয়ান (আনুমানিক ২ লাখ টাকা) দিতে চান তাঁদের, যা গুও আবারও প্রত্যাখ্যান করেন। পরিবর্তে, তিনি ৫ মিলিয়ন ইউয়ান অর্থায় প্রায় ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। যখন উভয় পক্ষই কোনও চুক্তিতে পৌঁছতে ব্যর্থ হয়, রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ পুলিশের দ্বারস্থ হন। তদন্ত শেষে গুও ব্ল্যাকমেলিং-এর দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন এবং গ্রেফতার হন।
রেস্তোরাঁয় খাবার সার্ভ করছেন ‘টিরিয়ান ল্যানিস্টার', চমকে ওঠেন আগন্তুক
মঙ্গলবার আদালতের শুনানি শেষে গুয়ানচা নিউজ রিপোর্ট জানিয়েছে, রেস্তোরাঁকে ব্ল্যাকমেল করতে তিনি নিজেই ওই খাবারের মধ্যে মরা ইঁদুর রেখেছিলেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, হেনান প্রদেশে দেশের বাড়িতে ঘুরতে গিয়ে ওই মরা ইঁদুরটি দেখতে পান তিনি। তারপর, একটা বোতলে করে সেই মরা ইঁদুর বেজিংয়ে নিয়ে আসেন তিনি।
তিনি আরও জানিয়েছেন যে, তাঁর একটু বেশিই লোভ হয়ে গেছিল। বিনা পয়সায় একটু আয়েশ করে খেতে চেয়েছিলেন কেবল। পরে লোভ বেড়ে গিয়েই সর্বনাশ হয়!