This Article is From Jul 03, 2019

ছেলে-মেয়ে একসঙ্গে পড়লেই হেনস্থা! আলাদা দিনে পড়ানোর সিদ্ধান্ত মালদার সরকারি স্কুলে

স্কুলের প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ পান্ডের দাবি, নানা ধরণের হেনস্থার বিভিন্ন অভিযোগ আসছিল অনেকদিন থেকেই। তাই বাধ্য হয়েই নাকি স্কুলকে এমন পদক্ষেপ নিতে হয়েছিল।

ছেলে-মেয়ে একসঙ্গে পড়লেই হেনস্থা! আলাদা দিনে পড়ানোর সিদ্ধান্ত মালদার সরকারি স্কুলে

শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবিলম্বে এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মালদা:

ছেলে মেয়েরা একসঙ্গে ক্লাস করলেই ‘হেনস্থা' হচ্ছে। তাই হয়রানি আটকাতে এক বিচিত্র বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার সরকার পরিচালিত একটি স্কুল। শিক্ষা বিভাগের সঙ্গে কোনও রকম আলাপ আলোচনা ছাড়াই সপ্তাহের এক এক দিনে ছেলেদের ও মেয়েদের আলাদা করে পড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই স্কুল। একই স্কুলে একই ক্লাসের ছেলেরা ও মেয়েরা মোটেই একসঙ্গে বসে ক্লাস করতে পারবেন না বলে পড়ুয়াদের নির্দেশ দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

মালদা সদর উপ-বিভাগের (Malda Sadar subdivision) হাবিবপুর এলাকায় গিরিজা সুন্দরী বিদ্যামন্দিরের (Girija Sundari Vidya Mandir) এমন লিঙ্গ বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত প্রশাসনকেও সমালোচনার মুখে ফেলে দিয়েছে। প্রশাসনের তরফে এই চিন্তাভাবনাকে ‘অদ্ভুত' বলেই মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এমন সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্যও নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। 

ইস্কনের আমন্ত্রণ মেনে রথযাত্রায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নুসরত

স্কুলের প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ পান্ডের (Headmaster Rabindranath Pande) অবশ্য দাবি, নানা ধরণের হেনস্থার বিভিন্ন অভিযোগ আসছিল অনেকদিন থেকেই। তাই বাধ্য হয়েই নাকি স্কুলকে এমন পদক্ষেপ নিতে হয়েছিল। রবীন্দ্রনাথ বলেন, “এত রকমের অভিযোগ এসেছে বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, সোমবার, বুধবার এবং শুক্রবার মেয়েরা স্কুলে পড়বে, ছেলেরা মঙ্গলবার, বৃহস্পতিবার এবং শনিবারে পড়তে আসবে। একমাত্র এতেই আমাদের সমস্যা সমাধানের পথ বাস্তবায়িত হত।"

শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Education Minister Partha Chatterjee) অবিলম্বে এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “এই ধরনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করা যায় না। এই বিষয়ে তদন্তের জন্য আমরা কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি এবং অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা উচিত।" 

তপশিলি জাতি, উপজাতি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী

পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের (West Bengal Council of Higher Secondary Education) সভাপতি মহুয়া দাস (Mahua Das) জানিয়েছেন, এমন ‘বিচিত্র' সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাঁর বিভাগের সঙ্গে মোটেও পরামর্শ করা হয়নি।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.