দিল্লি মেট্রো স্টেশনে নরেন্দ্র মোদী।
নিউ দিল্লি: পুলওয়ামায় ভয়াবহ জঙ্গি হানার প্রত্যুত্তরে মঙ্গলবার ভোররাতে পাকিস্তানে ঢুকে জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটিগুলি গুঁড়িয়ে দিয়ে এল ভারতীয় বায়ুসেনা। এই অপারেশনে ছিল মোট ১২'টি মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান। ভোরবেলা থেকেই এই খবর দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ার পর সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বহু মানুষ তাঁদের ‘উচ্ছ্বাস' প্রকাশ করেন। কিন্তু, এ তো গেল সাধারণ মানুষের কথা। পাকিস্তানে ঢুকে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার খবর পাওয়ার দিনটি মূলত কী করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী? মঙ্গলবার সকালে রাজস্থানে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে চুরু-তে একটি জনসভা করেন তিনি। যেখানে বলেন, “আমাদের দেশ এখন সবথেকে সুরক্ষিত হাতে রয়েছে। আমার কাছে দেশের থেকে বড় আর কিছু নেই”।
জইশ ক্যাম্পে বিমান হানার পরেই বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর
পরে দিল্লি এসে মেট্রোতে সফর করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীকে মেট্রোতে দেখে হকচকিত হয়ে যান মেট্রোযাত্রীরা। তাঁরা কেউ কেউ নরেন্দ্র মোদীর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন। বহু মানুষ তাঁর সঙ্গে সেলফি তোলেন।
মঙ্গলবার দক্ষিণ দিল্লির ইসকনের মন্দিরে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে গিয়ে বিশ্বের সবথেকে বড় ভাগবত গীতার প্রকাশ করেন তিনি। এই গীতাটি ২.৮ মিটার বড় এবং ৮০০ কিলোগ্রাম ওজন।
প্রকাশ্য আদালতে রাফাল মামলা শুনবে সুপ্রিম কোর্ট
যদিও, ওই অনুষ্ঠানে গিয়ে এয়ার স্ট্রাইকের সম্বন্ধে একটি শব্দও সরাসরি উচ্চারণ করেননি তিনি। বরং, কিছু কথা তিনি বলেন, যেগুলিকে বেশ ‘ইঙ্গিতবাহী' বলে মনে করছে ওয়াকিবহালমহল।
দর্শকদের তুমুল হর্ষধ্বনির মধ্যে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মানবতার শত্রুদের হাত থেকে এই দুনিয়াকে রক্ষা করার জন্য ঈশ্বর সর্বদাই আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। আর, আমরা এই বার্তাটিই দুরাত্মাদের উদ্দেশে দিতে চাই”।