This Article is From Oct 04, 2018

ভারতের সঙ্গে কথা বলার জন্য আমেরিকার হস্তক্ষেপ চাইল পাক, প্রস্তাব নাকচ আমেরিকার

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের বুনোটটিকে ঠিক করার জন্য আমেরিকার সাহায্য চাইল ইসলামাবাদ। কিন্তু, ঘটনাচক্রে পাকিস্তানের এই আবেদনে কানই দিল না ওয়াশিংটন।

ভারতের সঙ্গে কথা বলার জন্য আমেরিকার হস্তক্ষেপ চাইল পাক, প্রস্তাব নাকচ আমেরিকার

ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে ইচ্ছুক পাকিস্তান।

হাইলাইটস

  • ভারতের সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছুক পাকিস্তান চায় আমেরিকার হস্তক্ষেপ
  • হস্তক্ষেপ না করলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে, বলল পাকিস্তান
  • ভারতের সঙ্গে কথা বন্ধ থাকায় আমেরিকার ভূমিকা এখন গুরুত্বপূর্ণ
ওয়াশিংটন:

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের বুনোটটিকে ঠিক করার জন্য আমেরিকার সাহায্য চাইল ইসলামাবাদ। আপাতত এই দুই দেশ নিজেদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেও অংশগ্রহণ করে না। যদিও, পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে সতর্ক করে দিতে ভোলেননি যে, এর চাপানউতোরের ফলে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের আরও অবনতি হবে। কিন্তু, ঘটনাচক্রে, পাকিস্তানের এই আবেদনে কানই দিল না ওয়াশিংটন। পাকিস্তানের এক শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিবিদ ওয়াশিংটনের দর্শকের সামনে বুধবার এই কথা বলেন। তার আগে তিনি বৈঠক করেছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন এবং জাতীয় সচিব মাইক পম্পেও’র সঙ্গে। ওই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল সংশ্লিষ্ট ইস্যুটিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সামনে তুলে ধরা।

“যখন আমরা আমেরিকাকে এই ইস্যুটিতে হস্তক্ষেপ করতে বলছি…কেন বলছি? তার কারণ, ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে আর কোনও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক জাতীয় কিছু হয় না। আর তার ফলে একটা অনিবার্য দূরত্ব তৈরি হয়ে গিয়েছে দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক স্তরে। আমরা নিজেদের লক্ষ্যে স্থির থাকতে চাই। আমরা সীমান্তের পশ্চিম প্রান্তে যেতে চাই। কিন্তু, সেটা করতে পারছি না এখন আমরা। কারণ, আমাদের পূর্ব দিকের প্রতিবেশি কী করে চলেছে, তার দিকে যথেষ্ট নজর দিতে হচ্ছে। এটা মোটেই খুব স্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি নয়”, ইউএস ইন্সটিটিউট অব পিসের পক্ষ থেকে করা একটি প্রশ্নের জবাবে এই উত্তর দেন তিনি।

“তাই আমাদের প্রশ্ন ছিল, আপনারা (আমেরিকা) কি এই ব্যাপারটা নিয়ে একটু এগোতে পারেন? হস্তক্ষেপ করে সমস্যার সমাধান করতে পারবেন? তাঁদের পরিষ্কার জবাব হল- না! তাঁরা চান এটার সমাধান হোক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের মাধ্যমে। কিন্তু দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ারই তো কোনও সম্ভাবনা নেই। তাহলে আর সমাধান হবে কী করে”, বলেন পাক বিদেশমন্ত্রী।

“যেভাবে দু’দেশের সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে ক্রমশ, তাতে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা না করলে তার পরিণতি কোনওভাবেই ভালো হবে না। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মতো ব্যাপারগুলোর কোনও অর্থ হয় না”, বলেন শাহ মেহমুদ কুরেশি।

.