Read in English
This Article is From Dec 10, 2019

নাগরিকত্ব বিলের বিরোধিতায় ১১ ঘণ্টা স্তব্ধ দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চল

নর্থ ইস্ট স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন (নেসো) সোমবার লোকসভায় যে নাগরিক বিল পাস হয়েছে তারই বিরোধিতা করে বিকেল চারটা পর্যন্ত এই ধর্মঘট পালন করছে বলে খবর।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

উত্তর-পূর্বাঞ্চল জুড়ে কড়া নিরাপত্তা

গুয়াহাটি, অসম:

নাগরিকত্ব (সংশোধনী' বিলের প্রতিবাদে মঙ্গলবার ১১ ঘণ্টার জন্য স্তব্ধ হচ্ছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল। অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা মিজোরাম সহ উত্তর-পূর্বের একাধিক ছাত্র সংগঠনের ডাকা এই প্রতীকী বন্ধ শুরু হয়েছে ভোর পাঁচটা থেকে। অন্যান্য সংগঠন ও রাজনৈতিক দল সমর্থিত নর্থ ইস্ট স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন (নেসো) সোমবার লোকসভায় যে নাগরিক বিল পাস হয়েছে তারই বিরোধিতা করে বিকেল চারটে পর্যন্ত এই ধর্মঘট পালন করবে বলে খবর।

মুখ্যমন্ত্রীর অভয়বাণী, বাংলায় চালু হবে না এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল

বন্ধকে ঘিরে যাতে কোনও অশান্তি বা হিংসা না ছড়ায় তার জন্য ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা  আঁটোসাঁটো করা হয়েছে অসম, মেঘালয়, অরুণাচলপ্রদেশ, মিজোরাম, ত্রিপুরায়। নাগাল্যান্ডে হর্নবিল উৎসব চলায় বন্ধের আওতা থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে তাকে। এদিকে, সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে ইনার লাইন পারমিট (আইএলপি) শাসনের আওতাধীন করার কথা বলার পরেই এই আন্দোলন থেকে সরে এসেছে মণিপুর।

Advertisement

প্রসঙ্গত, নাগরিকত্ব (সংশোধন) বিল প্রথম তৈরি হয়েছিল  ২০১২-য়। পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দিতেই তৈরি করা হয়েছিল এই বিল। বর্তমানে ১১ বছরের পরিবর্তে পাঁচ বছর ভারতের বাসিন্দা হলেই ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবেন তাঁরা। একই সঙ্গে, নয়া সংশোধনী বিল নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগে রয়েছেন উত্তর-পূর্ব রাজ্যের ভূমিপু্ত্ররা। তঁদের ভয়, সংশোধনী বিলের সাহায্যে নাগরিকত্ব লাভের পর নতুন বাসিন্দারা হয়ত উচ্ছেদ করবেন তাঁদের। হয়ত টান পড়বে তাঁদের রুজি-রোজগারে।

লোকসভায় বিতর্কের মাঝে নাগরিকত্ব বিলের কপি ছিঁড়ে ফেললেন আসাদুদ্দিন ওয়াইসি

Advertisement

আজকের বন্ধ সর্বাত্মক করতে কংগ্রেস, এআইইউডিএফ, সমস্ত অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন, কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি সমিতি, সমস্ত অরুণাচল প্রদেশের ছাত্র ইউনিয়ন, খাসি ছাত্র ইউনিয়ন এবং নাগা স্টুডেন্টস ফেডারেশন সমর্থন জানাচ্ছে এনইএসওকে। এসইফআই, ডিওয়াইএফআই, এআইডিডাব্লুএ, এআইএসএফ, আইআইএসএ এবং আইপিটিএ-র মতো মোট ১৬ টি বামপন্থী সংগঠনও সমর্থন জানিয়েছে নেসোকে। বন্ধের কারণে রাজ্যের গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয় স্থগিত রেখেছে আগামীকালের নির্ধারিত সমস্ত পরীক্ষা।

প্রসঙ্গত, অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড এবং মিজোরামে আইএলপি ব্যবস্থার থাকায় এখানে চালু হবে না সংশোধনী বিল। অসম, মেঘালয় এবং ত্রিপুরার উপজাতি অধ্যুষিত এলাকা সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় এখানেও লাগু হবে না এই বিশেষ বিল। নাগরিক বিল ইস্যুতে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বন্ধ ডাকল নেসো। এই বিল এর আগে পাস হওয়ার পরে ৮ জানুয়ারি একাধিক সংগঠন বন্‌ধ পালন করে। তবে, বিলটি রাজ্যসভায় পাস না হওয়ায় তা সাময়িক স্থগিত থাকে। সোমবার লোকসভায় এর নতুন সংস্করণ সামনে আনা হয়।

Advertisement