This Article is From Sep 11, 2019

Photographic Memory: ১৩০০ ক্রেডিট কার্ড মুখস্থ করে গ্রাহককে ফতুর করল এই চোর!

ইউসুক তানিগুচিকে (৩৪) বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ক্রেডিট কার্ডের চুরি করা তথ্য ব্যবহার করে সে মার্চ মাসে আনুমানিক ২,৬০০ ডলারের ব্যাগ কেনে।

Photographic Memory: ১৩০০ ক্রেডিট কার্ড মুখস্থ করে গ্রাহককে ফতুর করল এই চোর!

পুলিশ জানিয়েছে, পার্টটাইম ক্যাশিয়ার গ্রাহক ক্রেডিট কার্ডের তথ্য অল্প সময়ের মধ্যেই হুবহু মুখস্থ করে মাথায় রেখে দিতে পারত

চোর কত রকমের দেখেছেন? পকেটমার, সিঁদ কাঁটা চোর, ব্যাঙ্ক ডাকাত, সাইবার চোর….চুরিরও রকমফের প্রচুর! অপরাধ দমনে মগজাস্ত্র ব্যবহার ফেলুদা ব্যবহার করতেন ঠিকই, কিন্তু অপরাধ ঘটাতে যুগে যুগে যে ক্রমশই শান দিয়ে উঠছে অপরাধীদের মগজাস্ত্র? তার বেলা! সম্প্রতি এমনই এক চোরের সন্ধান মিলেছে। চোর কিন্তু পেশায় ক্যাশিয়ার। প্রায় ১,৩০০ গ্রাহকের কাছ থেকে ক্রেডিট কার্ডের তথ্য চুরি করেছেন তিনি এবং অন্য কোনও উপায়ে নয়, স্রেফ মগজাস্ত্রের জোরে! পুলিশের মতে, টোকিওর এই চোর সব তথ্য মুখস্থ করে রেখেই একের পর এক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খালি করে ফেলেছেন মানুষের।

ক্যাচ-কট-কট! চলন্ত রোলার কোস্টারে বসেই উড়ন্ত মোবাইল মুঠোবন্দি....

সিএনএন জানিয়েছে, ইউসুক তানিগুচিকে (৩৪) বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ক্রেডিট কার্ডের চুরি করা তথ্য ব্যবহার করে সে (Yusuke Taniguchi) মার্চ মাসে আনুমানিক ২,৬০০ ডলারের ব্যাগ কেনে। পুলিশ ওই ব্যাগ কেনার অর্ডারটিকে থামিয়ে দেয় এবং অভিযুক্ত চোরকে ধরার জন্য ডেলিভারি অ্যাড্রেসে পুলিশের ঠিকানা দেয়। তদন্তকারীদের একটি সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, তানিগুচির একটি অদ্ভুত ক্ষমতা আছে, যাকে বলে ফটোগ্রাফিক মেমোরি (photographic memory)! অর্থাৎ ছবির মতো স্পষ্ট মনে রাখতে পারে সে। পুলিশ জানিয়েছে, পার্টটাইম ক্যাশিয়ার গ্রাহক ক্রেডিট কার্ডের তথ্য অল্প সময়ের মধ্যেই হুবহু মুখস্থ করে মাথায় রেখে দিতে পারত। পরে সেই তথ্য দিয়ে সে কেনাকাটা করত। তবে বিজ্ঞানীরা অবশ্য ফটোগ্রাফিক স্মৃতিশক্তির দাবি মেনে নিচ্ছেন না।

Jack Ma: আলিবাবার দায়িত্ব ছেড়ে অবসর নিলেন চিনের ধনকুবের জ্যাক মা

ইউনিয়ন কলেজের মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড্যানিয়েল বার্নসের মতে বিজ্ঞানীরা ফটোগ্রাফিক স্মৃতিগুলির প্রমাণ খুঁজে পান নি, তবে এমন অনেক লোকই রয়েছেন যাঁদের খুব ভাল স্মৃতি এবং তথ্য মনে রাখতে পারেন। বেশিরভাগ মানুষই এডেটিক স্মৃতির (eidetic memory) সঙ্গে ফটোগ্রাফিক মেমোরিকে গুলিয়ে ফেলেন। তবে বিজ্ঞানীরা মেমোরি বা স্মৃতি বিষয়ে এই দু'ভাগের মধ্যে স্পষ্ট ফারাক করেন। এডেটিক মেমোরিযুক্ত ব্যক্তি একবার দেখার পরেই চিত্রটি দুর্দান্তভাবে মনে রাখতে পারেন এবং চার মিনিট অবধি ছবিটি হুবহু মনে রাখতে পারেন। বার্নসের মতে, এডেটিক মেমোরি সাধারণত ৬ থেকে ১২ বছর বয়সের বাচ্চাদের মধ্যে পাওয়া যায় এবং গবেষণা অনুসারে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে খুব কমই পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, “আমাদের মাথায়, ‘ফটোগ্রাফিক মেমোরি' হ'ল এমন একটা বিষয় যাতে কোনও কিছু একবার দেখে নিলে কয়েক দিন পরেও এমনভাবে যেই ছবিটি এঁকে ফেলতে পারি যা  আসল চিত্রের সঙ্গে অভিন্ন।” কলবি কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জেনিফার কোয়েনের মতে, এইরকম বিশদে কেউ যদি সব মনে রাখতে শুরু করে তাহলে দৈনন্দিন জীবনযাত্রা পরিচালনা করা কঠিন করে পড়বে কারণ আপনি কখনই নিজের মন থেকে কোনও কিছুই মুছতে পারবেন না, সবকিছুই স্তূপ হয়ে যাবে। মাঝে মাঝে তথ্য ভুলে যেতে শেখাও দরকারি। তনিগুচি তার নোটবুকে ক্রেডিট তথ্য দেখতে, মনে রাখতে এবং লিখতে কত সময় নিয়েছে, তা অবশ্য পুলিশ জানায়নি।

কোয়েন বলেন, সম্ভবত এই চোর নিজেকে দুর্দান্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে যথাযথ সংখ্যার ক্রম মনে রাখতে পারদর্শী করে তুলেছিল! প্রাচীন গ্রীক এবং অন্যরা লোকি নামক একটি পদ্ধতি ব্যবহার করত, যা কিছু নির্দিষ্ট জায়গা স্মরণে রাখার জন্য প্রাসঙ্গিক বিষয়বস্তু হিসেবে কাজে আসত।

কোয়ান বলেছেন, “প্রচুর মানুষই এমন প্রশিক্ষণ দেয়। আপনি চাইলেই বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় মুখস্থ ক্ষমতা বাড়াতেই পারেন। এমনকি যদি ক্রেডিট কার্ড নম্বর মুখস্ত করতে চান তবে সেটাও আসলে সহজই!”



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.