'পরিচয় বিলুপ্ত হবে না।' কাশ্মীরিদের আশ্বত করেছেন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক।
শ্রীনগর: এক দেশ-এক সংবিধান। বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মীরজুড়ে স্বাধীনতা দিবস (Independence Day) পালিত হয়েছে শান্তিপূর্ণভাবেই (Peacefully)। ঘটেনি বিচ্ছিন্ন কোনও ঘটনা (without incident)। দাবি করেছেন, উপত্যকার প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি রহিত কানসাল (Rohit Kansal, Jammu and Kashmir Principal Secretary)। রাজ্যের মূল অনুষ্ঠানটি হয় শ্রীনগরের শের-ই-কাশ্মীরি স্টেডিয়ামে। বিভিন্ন জেলাতেও উদযাপিত হয় দেশের ৭৩ তম স্বাধীনতা দিবস। সেখানেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক (Governor Satyapal Malik)। অনুষ্ঠানে রাজ্যবাসীকে মালিক আশ্বস্ত করে বলেন, ‘ভারতের সংবিধান সব অঞ্চলের বিকাশকেই প্রাধান্য দেয় গুরুত্বের সঙ্গে। ভূস্বর্গের ক্ষেত্রেও তাই হবে। জম্মু-কাশ্মীরকে (Jammu-Kashmir) ঘিরে কেন্দ্রের যে পদক্ষেপ তা এখানকার মানুষের উন্নয়নের কথা ভেবেই। পরিচয়হানির কোনও জায়গাই নেই।' কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে জম্মু-কাশ্মীর (Jammu-Kashmir) ও লাদাখে (Ladakh) উন্নয়নের দরজা খুলে যাবে।
রাজৌরি ও অনন্তনাগে এখনও কারফিউ রয়েছে। তারই মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবেই দু'জায়গাতেই ত্রিবর্ণ পতাকা উত্তলিত হয়। পুলিশের ডেপুটি কমিশনার মহম্মদ আসাদ ও খালিদ জাহাঙ্গির পতাকা উত্তোলন করেন। স্বাধীনতার নতুন স্বাদ। লাদাখে স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) অনুষ্ঠান ঘিরে ছিল খুশির আবহ। সেখানে স্থানীয়দের সঙ্গে নাচতে দেখা যায় বিজেপি সাংসদ জাময়াং তাসেরিং নামগিয়ালকে।
রাজ্যের প্রিন্সিপাল সেক্রেটরির কথানুযায়ী, ‘শ্রীনগর বিমানবন্দর (Sreenagar Airport) থেকে সান্ধ্যাকালীন উড়ান পরিষেবা চালু হয়েছে। ১৫০ জন যাত্রী নিয়ে বিমানটি যাত্রা করে। পরিষেবায় কোনও বেগ পেতে হয়নি। সব স্বাভাবিকের পথে।'
জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu-Kashmir) এটিএম (ATM) ব্যবস্থায় ত্রটি রযেছে বলে অভিযোগ। পুরো বিষয়টি অর্থমন্ত্রককে জানানো হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন প্রিন্সিপাল সেক্রেটরি রহিত কানসাল। তিনি গত মঙ্গলবার বলেছিলেন, ‘শান্তিপূর্ণ স্বাধীনতা দিবল পালিত হবে রাজ্য। যা পরিস্থিতি ক্রমশ স্বাভাবিকের পথে ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবে।'
উপত্যকা থেকে সংবিধান প্রদত্ত বিশেষ অধিকার ৩৭০ ধারা (Article 370) রদ করেছে কেন্দ্র। জম্মু-কাশ্মীরকে (Jammu and Kashmir) দ্বিখণ্ডিত করে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে পরিণত কর হচ্ছে। মোদী সরকারের এই ঘোষণার আগে থেকেই অবশ্য কড়া নিরাপত্তাবলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে কাশ্মীরকে। গোটা রাজ্যেই জারি রয়েছে কারফিউ। নিয়ন্ত্রণের আওতায় ভূস্বর্গ। রাজ্যের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকেও আটক করা হয়েছে। জেলে বিভিন্ন দলের ৪০০ রাজনৈতিক কর্মী, সমর্থক।
সোমবার ঈদে টেলিফোন থেকে ইন্টারনেট (Internet) পরিষেবা জম্মু-কাশ্মীরের কিছু জায়গায় চালু করা হলেও পরে তা ফের বন্ধ করা হয়। ভুয়ো কোনও খবর ঘিরের উত্তেজনা নেই।