হাইলাইটস
- কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে ইস্তফা দিতে চাননি রাহুলঃ কংগ্রেস
- দলের তরফে একথা জালানো হল
- আজ সকালে বৈঠকে বসে কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটি
নিউ দিল্লি: কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে রাহুল গান্ধীর ইস্তফা গৃহিত হল না (Congress Working Committee) । উল্টে তাঁর প্রশংসা করল কমিটি। বিপর্যয়ের কারণগুলি দলের শীর্ষ নেতাদের সামনে তুলে ধরলেন তিনি। এবারও ৩৫০-র বেশি আসনে জিতেছে এনডিএ (National Democratic Alliance)। আর এবারও কংগ্রেসের ফল ভাল হয়নি। এই পরিস্থিতিতে আজ সকালে বৈঠকে বসে কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটি। ২০১৪ সালের পর ২০১৯ সালেও একক সংখ্যাগোরিষ্ঠতায় সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি। এবার একাই ৩০০-র বেশি আসন পেয়েছে বিজেপি। আর কংগ্রেসের সাংসদ সংখ্যা ৫২। কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সংখ্যা ৫২জন। সেখানে ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) থেকে শুরু করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও (Priyanka Gandhi) আছেন। আছেন পাঞ্জাব থেকে শুরু করে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীরা। অনেকেই মনে করেছিলেন রাহুল ইস্তফা দেবেন। বৈঠক শুরু হওয়ার পর একবার শোনা যায় তিনি ইস্তফাও দিয়েও দিয়েছেন। কিন্তু পরে কংগ্রেস জানায় রাহুল ইস্তফা দেননি।
এবারের ফলে দেখা যাচ্ছে দেশের ১৭ টি রাজ্যে খাতা খুলতে পারেনি কংগ্রেস। আর কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলেও আসন দখল করতে পারেনি কংগ্রেস। উল্টো দিকে দেখা গিয়েছে এতকাল যে সমস্ত জায়গায় বিজেপির ফল তেমন ভাল হত না সেখানেও ভাল করেছে বিজেপি। বাংলা থেকে ১৮ টি আসন জিতেছে বিজেপি। আগের নির্বাচনে এই আসন সংখ্যা ছিল ২।
সংগঠনে জোর আনতে এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকেও রাজনীতিতে সক্রিয় করা হয়েছিল। পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু সেখানেও কংগ্রেসের ফল ভাল হয়নি। দেশের সবচেয়ে বড় রাজ্যে এই নির্বাচনী বিপর্যয়ের ২৪ ঘন্টার মধ্যে কংগ্রেসে পদত্যাগের পালা শুরু হয়। উত্তর প্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি রাজ বাব্বর দলীয় পদ ছেড়ে দেন। একই সঙ্গে ওড়িশার রাজ্য সভাপতি নিরঞ্জন পট্টনায়ক এবং কর্নাটকের প্রচার কমিটির প্রধান এইচকে পাটিল দল ছেড়েছেন। এই তিন রাজ্যেই খুব খারাপ ফল করেছে কংগ্রেস। তারই দায় নিয়ে পদ ছাড়লেন তিন নেতা।
চিঠি লিখে কংগ্রেস সভাপতিকে সে কথা জানিয়ে দেন রাজ। পাশাপাশি টুইটারে তিনি লেখেন উত্তর প্রদেশের এই ফলাফল হতাশাজনক। নিজের কাজ ঠিক করে করতে পারেনি বলে আমি নিজেকেই দোষী মনে করি। আমি নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করব এবং কেন পরাজয় হল সে ব্যাপারে আমার বক্তব্য জানাব। পাশাপাশি তিনি লিখেন জয়ীদের অভিনন্দন। আপনারা জনাদেশ পেয়েছেন।