অনির্বাণের অভিযোগ বিষয়টিকে বদলে দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে।
নিউ দিল্লি: আপাতত সাত দিন গ্রেফতার করা যাবে না অনির্বাণ দাসকে। আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা অনির্বাণ ফেসবুকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Bengal Chief Minister Mamata Bannerjee) সমালোচনা করে একটি পোস্ট করেন। গত মাসের ২৪ তারিখ এই পোস্ট করার পর তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা। কিন্তু অনির্বাণের অভিযোগ বিষয়টিকে বদলে দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। আর তার জন্যই অনির্বাণ মনে করেন তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে গ্রেফতার করার ছক করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে (Top Court) আবেদন করেন তিনি। সওয়াল জবাব শোনার পর বিচারপতিরা নির্দেশ দিয়েছেন আগামী সাত দিন গ্রেফতার করা যাবে না অনির্বাণকে। আদালতে অনির্বাণ বলেন সরকারি কাজ-কর্মের সমালোচনা করে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন এবং অল্প সময়ের মধ্যেই ক্ষমা চেয়ে নেন। তবু তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর ধারায় অভিযোগ আনা হয়। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে ওঠে যে তিনি আশঙ্কা করতে থাকেন তাঁকে গ্রেফতার করা হবে। আর তাই সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হলেন তিনি।
জয় শ্রী রাম ধ্বনি শুনে ‘মিঠুন স্মরণ' মমতার
দিন কয়েক আগে প্রিয়াঙ্কা শর্মা নামে এক তরুণীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ছবি বিকৃত করে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন দিন কয়েক আগে নিউ ইয়র্কের একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে বিচিত্র রূপে ধরা দেন বলিউডের বিশিষ্ট নায়িকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। সেই ছবিতে মমতার মুখ বসিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন প্রিয়াঙ্কা সরকার। পরিবাররের অভিযোগ বিজেপি কর্মী বলেই গ্রেফতার হয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। সংবাদ সংস্থাকে তাঁর মা বলেছেন এ সবই বড় চক্রান্তের অংশ। প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিজেপি নেতারাও। পরে ক্ষমা চাইবেন এই শর্তে তাঁকে জামিন দেয় আদালত। কিন্তু জেল থেকে ছাড়া পেয়ে প্রিয়াঙ্কা বলেন, কোনও অপরাধ করিনি তাই ক্ষমাও চাইব না। পাঁচ দিন জেলে থাকার পর মুক্ত হয়ে একথাই বললেন প্রিয়াঙ্কা শর্মা। মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ‘বিকৃত' করে জেলে গিয়েছেন তিনি। কাল তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট। তবু আজ সকালের আগে মুক্ত হননি তিনি। জেলে অত্যাচারিত হওয়ার অভিযোগও তোলেন তিনি। তাঁর কথায় ‘জেলে আমাকে অত্যাচার করা হয়েছিল। জেলার নিজে আমায় ধাক্কা মেরেছেন। আমার সঙ্গে খুবই খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে। আমাকে জেলে কারওর সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়নি।'