This Article is From May 21, 2019

বাংলায় বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগের বিরুদ্ধে রাজ্যের আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও এমআর শাহের বেঞ্চের পক্ষে জানানো হয়, এই আর্জি শুনতে তাঁরা ইচ্ছুক নন,

বাংলায় বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগের বিরুদ্ধে রাজ্যের আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

তবে আবেদনকারীকে হাইকোর্টে আবেদনের স্বাধীনতা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট(Supreme Court)।

নিউ দিল্লি:

লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2019) জন্য পশ্চিমবঙ্গে দুই অবসরপ্রাপ্ত আমলাকে বিশেষ পর্যবেক্ষক (Special Observer) হিসেবে নিয়োগ রদের আর্জিকে মঙ্গলবার খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও এমআর শাহের বেঞ্চের পক্ষে জানানো হয়, এই আর্জি শুনতে তাঁরা ইচ্ছুক নন, কেননা ভোটপর্ব এরই মধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে আবেদনকারী রামু মান্ডি, যিনি নির্দল প্রার্থী হিসেবে ব্যারাকপুর লোকসভা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাঁকে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করার স্বাধীনতা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট(Supreme Court)। প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচনের ( Election 2019) পঞ্চম পর্যায়ে পশ্চিমবঙ্গের সাতটি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়। ব্যারাকপুর ছিল তারই অন্যতম।

কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ইভিএম? প্রশ্ন উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে

ওই আর্জিতে বলা হয়েছিল, দুই পর্যবেক্ষক— বিবেক দুবে ও অজয় ভি নায়ককে নিয়োগ করা হয়েছে আইন লঙ্ঘন করে, যাতে তাঁরা ভোটের সময় নির্দিষ্ট দিকে পক্ষপাত দেখাতে পারেন। জানা যাচ্ছে, দুবেকে পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডের কেন্দ্রীয় পুলিশ পর্যবেক্ষক হিসেবে এবং নায়ককে পশ্চিমবঙ্গের বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল।  ‘ভয়ঙ্কর পক্ষপাত'-এর অভিযোগ তুলে আবেদনকারী জানান, এই দুই পর্যবেক্ষক ‘পক্ষপাতপূর্ণ ও জোটবদ্ধ' হবেন ও তাঁদের নিয়োগের বিষয়টি সরাসরি নির্দল প্রার্থী হিসেবে তাঁর বিরুদ্ধে যাবে।  আর্জিতে এও জানানো হয়— ‘তাঁদের উপস্থিতির কোনও কারণই নেই। অথবা নির্দিষ্ট কারণ আছে এই অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিকদের পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করার। যেখানে বহু সিনিয়র আধিকারিকরা কর্মরত রয়েছেন, যাঁরা অনবদ্য সততা ও ভাবমূর্তির জন্য সুপরিচিত।'

Election 2019: ভোট শেষ হতেই রাজ্যজুড়ে সংঘর্ষ, আহত একাধিক

রামু মান্ডি এরপরে আরও অভিযোগ তোলেন যে, পর্যবেক্ষকরা তাঁর প্রতি অন্যায় করছেন ও নিজেদের বেআইনি নিয়োগের সাহায্যে তাঁর নির্বাচিত হবার সম্ভাবনাকে ক্ষুণ্ণ করছেন।  ওই আর্জিতে তিনি জানান, ‘তাঁরা নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে বিপন্ন করতে বার বার চেষ্টা করেছেন, জনসমক্ষে রাজ্যের নিরাপত্তাজনিত পরিস্থিতিকে অতিরঞ্জিত করতে অপ্রয়োজনীয় ও অন্যায় বক্তব্য রেখে।' আর্জিতে এই অভিযোগও তোলা হয়, পর্যবেক্ষক হিসেবে দুবে ও নায়কের নিয়োগ জনগণের প্রতিনিধিত্বের আইন মেনে হয়নি। কেননা, তাঁরা সরকারি আধিকারিক নন, অবসরপ্রাপ্ত আমলা।

.