রইল কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যার ২.৭ একর বিতর্কিত জমির উপর থাকা বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা হয়।
২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট একটি রায়। তাতে অযোধ্যা রামের জন্মভূমি বলে মেনে নেওয়া হয়। একই সঙ্গে জমির দুই তৃতীয়াংশ হিন্দু সংগঠন এবং বাকিটা সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে দেওয়া হয়। সেই রায় মানতে না পারে বিভিন্ন পক্ষ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে।
গত অক্টোবর মাসে উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে আদালতে এ ব্যাপারে দ্রুত শুনানির আবেদন জানান হয়। সেটি খারিজ করে দেয় আদালত। বিচারপতিরা বলেন কোন মামলা প্রাধান্য দেওয়া হবে সেটা আদালতের নিজের ব্যাপার।
প্রধান বিচারপতি নিজেও বলে দিয়েছেন তাঁর নেতৃত্বে থাকা এই বেঞ্চ শুনানির দিক ঠিক করবে, শুনানি নয়।
দ্র্যত শুনানির আবেদন খারিজ হওয়ায় বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন বিজেপির উপর আইনি পক্রিয়া এড়িয়ে অর্ডিন্যান্স আনতে চাপ দিতে থাকে।
অন্য দের পাশাপাশি বিজেপির শরিক শিবসেনা অর্ডিন্যান্স আনার ব্যাপারে চাপ দিতেব থাকে। নিজেদের দাবিকে সামনে রেখে অযোধ্যায় বড় সম্মেলনও করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং শিবসেনা। তবে নতুন বছরের প্রথম দিনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই ধরনের কিছু করা সম্ভব হবে না।
আরএসএসের তরফে দ্রুত মামলাটির নিষ্পত্তির দাবি করা হয়েছে । একই দাবি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের। আইনের বহুল প্রচারিত প্রবাদ উদ্ধৃত করে যোগী বলেছেন বিচারপেতে দেরি হওয়া বিচার না পাওয়ার মতোই। .
শুধু অযোধ্যায় সমাবেশ করা ন্য গোটা দেশেই মিটিং- মিছিল করছে শিবসেনা থেকে শুরু করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
এই মামলার এ পর্যন্ত শুনানিতে সেপ্টেম্বর মাসে আদালত জানায় ১৯৯৪ সালের পর্যবেক্ষণ বদলানো হবে না। সে সময় সুপ্রিম কোর্ট জানায় নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে মসজিদ আবশ্যক নয়।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের হাজারো কর্মী ওই জমির পাশে জড়ো হন। আর তারপরই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হিংসা দেখা দেয়। তাতে ২ হাজারের মতো মানুষের মৃত্যু হয়েছে।