হাইলাইটস
- নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হতেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে
- ইভিএমের সুরক্ষার প্রশ্নে বিরোধী দলগুলি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে
- যে অভিযোগ উঠেছে সে ব্যাপারে কমিশনকে নিজের বক্তব্য জানাতে হবে
নিউ দিল্লি: লোকসভা (Lok Ssbha Election 2019 ) নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হতেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (EVM) নিয়ে প্রশ্ন উঠছে । ২১ টি বিরোধী দল সুপ্রিম কোর্টের (Supreme court) দ্বারস্থ হয়েছে। এবার নির্বাচন কমিশনের (Election Commission )জবাব চেয়ে পাঠাল শীর্ষ আদালত। বিরোধীরা যে অভিযোগ তুলেছে সে ব্যাপারে কমিশনকে নিজের বক্তব্য জানাতে হবে। বিরোধী দলের মূল অভিযোগ ইভিএমের স্বচ্ছতা সম্পর্কে। মানে কেউ কেউ মনে করেন ইভিএমে জনমতের প্রতিফলন সঠিক হয় না। তাতে কারচুপি করার সুযোগ থাকে। এর পাশাপাশি ইভিএমের অন্তত ৫০ শতাংশ মেশিনের ভিভিপ্যাট গোনার দাবি উঠেছে। সে কথাও তুলে ধরেছে বিরোধী দল গুলি।
রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের উচ্চপর্যায়ের টিম যাবে অসম-ত্রিপুরা-মণিপুরেও
সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার আগে সভা থেকে শুরু করে অন্য জায়গাতেও একই দাবি করেছে বিরোধীরা। তবে নির্বাচন কমিশন মনে করে ইভিএমের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায় না। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল রাওয়াত বিরোধীদের দাবি মানতে রাজি হননি। অতীতে এই দায়িত্ব সামলে আসা ও পি রাওয়াত বলেছেন নির্বাচনে হারের পর রাজনৈতিক দল গুলি ইভিএমের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন করে। পাশাপাশি ইভিএমকে বলির পাঁঠা বানানো হচ্ছে এমন কথাও বলেছেন তিনি।
বিজেপির হয়ে ভোটে লড়ার প্রস্তাব ফেরালেন সহবাগ
উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে বিজেপির বিরাট ব্যবধানে জয়ের পর থেকে একাধিকবার ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ওই নির্বাচনে ভরাঢুবির পর উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী ইভিএমের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এরপর দিল্লিতে পুরসভা নির্বাচনে দেখা যায় আম আদমি পার্টির ফল ভাল হয়নি। সে সময় ইভিএমকে কাঠগড়ায় তোলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সম্প্রতি গত জানুয়ারি মাসে কলকাতার বিগ্রেড ময়দানে সভা করে বিরোধী দলগুলি। তৃণমূলের আহ্বানে সেখানে উপস্থিত ছিলেন দেশের তাবড় বিরোধী নেতারা। সেই সভা মঞ্চ থেকে কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাও ওই একই অভিযোগ করেন।
এদিকে বিরোধী দল গুলি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করলেও নির্বাচন কমিশনের আয়োজিত চ্যালেঞ্জে অংশ নেয়নি কোনও বিরোধী দল। সে সময় কমিশন বলেছিল যে কেউ ইভিএমে হ্যাক করে দেখাতে পারবেন। আর সেটা করলে কমিশন সেই বক্তব্য মেনে নেবে।