বিচারপতি দীপক মিশ্র, এ এম খানুয়িলকর এবং ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ এই রায় দেয়
নিউ দিল্লি: সুপ্রিম কোর্ট গতকাল জানিয়ে দিল যে, তারা বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনের সম্বন্ধে যে ভুরিভুরি অভিযোগ পেয়েছিল তা বিবেচনা করে দেখবে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাংলায় অন্তত 20 হাজার আসনে যে কোনও ভোটই হয়নি, তা কানে এসেছিল শীর্ষ আদালতের। তাদের কাছে এই অভিযোগও এসেছিল যে, বহু প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র পূরণ করে জমা দেওয়ার ব্যাপারেও বাধা দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি দীপক মিশ্র এবং বিচারপতি এ এম খানুয়িলকর এবং বিচারপডি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন কমিশন এবং এই রাজ্যের দুই বিরোধী দল সিপিএম ও বিজেপির কাছ থেকে আসা অভিযোগ খতিয়ে দেখে এই রায় দিয়েছে।
রাজ্য বিজেপি ও সিপিএমের নেতৃত্বের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল যে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় বহু আসনে একমাত্র রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরাই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিল। বাকি কোনও দলের প্রার্থীকেই মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেওয়া হয়নি।
“রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কুড়ি হাজারেরও বেশি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছিল তৃণমূল। অভিযোগ উঠেছে যে, মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেওয়াতেই ওই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। আরেকটি তথ্যও উঠে এসেছে, তা হল, একমাত্র একটি দলের প্রার্থীরাই মনোনয়নপত্র জমা দিতে পেরেছে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়, তা আমরা বিবেচনা করে দেখছি”, বলে ওই বেঞ্চ।
সুপ্রিম কোর্টের ওই বেঞ্চ এই ব্যাপারটিও স্পষ্ট করে দিল যে, কলকাতা হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল ইমেল আর হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ব্যাপারে, তা শীর্ষ আদালত কোনওভাবেই অনুমোদন করবে না।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)