This Article is From May 06, 2020

কাশ্মীরে সেনার এনকাউন্টারে মৃত "মোস্ট ওয়ান্টেড" জঙ্গি রিয়াজ নাইকু

Jammu and Kashmir: রিয়াজ নাইকুর মাথার দাম ১২ লক্ষ টাকা। হিজবুলের প্রাক্তন প্রধান বুরহান ওয়ানির পরে নাইকুই ছিল জম্মু ও কাশ্মীরের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড' জঙ্গি।

কাশ্মীরে সেনার এনকাউন্টারে মৃত

বহু গুরুতর অপরাধে লিপ্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে ওই জঙ্গি নেতার বিরুদ্ধে (ফাইল)

শ্রীনগর:

শেষপর্যন্ত মিলল সাফল্য। কাশ্মীরে সেনার এনকাউন্টারে মৃত্যু হল "মোস্ট ওয়ান্টেড" জঙ্গি রিয়াজ নাইকুর (Riyaz Naikoo)। জম্মু ও কাশ্মীরের (J&K) অবন্তীপুরায় ওই শীর্ষ জঙ্গি কমান্ডারকে (Top Terrorist Commander) ঘিরে ফেলে নিরাপত্তা বাহিন‌ী। এর আগে ওই জঙ্গি দমন অভিযান সম্পর্কে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের (J&K Police) মুখপাত্র জানান, মঙ্গলবার রাতে ওই অপারেশন শুরু হয়। যে বাড়িতে ওই শীর্ষ জঙ্গি নেতা লুকিয়ে ছিল, সেটিকে ঘিরে ফেলে প্রবল গুলিবর্ষণ শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। সূত্রানুসারে, ওই জঙ্গি কমান্ডার জঙ্গি দল হিজবুল মুজাহিদিনের শীর্ষ কমান্ডার। সে ছিল কাশ্মীরের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড' জঙ্গি তালিকার অন্যতম। সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে ওই জঙ্গি নেতার সঙ্গীকেও এরই মধ্যে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকে গুলির লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকেই কাশ্মীরের মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।

রিয়াজ নাইকুর মাথার দাম ১২ লক্ষ টাকা। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন ডিরেক্টর জেনারেল এসপি বৈদ্য জানাচ্ছেন, হিজবুলের প্রাক্তন প্রধান বুরহান ওয়ানির পরে নাইকুই ছিল জম্মু ও কাশ্মীরের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড' জঙ্গি। দক্ষিণ কাশ্মীর অঞ্চলে জন্মানো নাইকু পেশায় একজন অঙ্কের শিক্ষক ছিল। ২০১২ সালে সে জঙ্গি হয়ে যায়। কাশ্মীরের তরুণ সম্প্রদায়কে ফাঁদে ফেলে সন্ত্রাসবাদে দীক্ষিত করে তোলার কাজটি করতে নাইকু ছিল সিদ্ধহস্ত। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সে তার জাল ছড়াত। বহু তরুণ কাশ্মীরিকে জঙ্গি করে তোলার পিছনে ছিল নাইকুরই ইন্ধন। 

আর একটি গুলির লড়াইয়ে জেলার পাম্পোরে অঞ্চলের শারশালি গ্রামে খতম হয়েছে দুই জঙ্গি। দুই এনকাউন্টারই এখনও চলছে। বিপুল গোলাগুলির কথা জানা গিয়েছে।

এদিন সকাল ৯.০৭-এ জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশের তরফে টুইট করে বলা হয়, শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি কমান্ডারকে ঘিরে ফেলা হয়েছে। অবন্তীপুরায় অবন্তীপুর পুলিশের তরফে তৃতীয় অপারেশন শুরু করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওই জঙ্গি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ সে স্থানীয় তরুণদের জঙ্গি দলে ঢোকানোর কাজে লিপ্ত ছিল। পাশাপাশি আরও বহু অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এর মধ্যে অন্যতম বিশেষ পুলিশ আধিকারিকদের হত্যা করা।

২০১৮ সালে জঙ্গি হানা ও হামলার হুমকির কারণে বহু বিশেষ পুলিশ আধিকারিক চাকরি ছেড়ে দেন। শোপিয়ান ও পুলওয়ামাতেও পুলিশ আধিকারিকরা এই পদক্ষেপ করেন।

গত মাসে অন্তত ২২ জন সেনা কর্মী, যাঁদের মধ্যে সেনা আধিকারিকরাও রয়েছেন, তাঁদের হত্যা করা হয়েছে কাশ্মীর উপত্যকায়। জানা গিয়েছে, পাক জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের ফলেই এই ধরনের জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটছে।

গত রবিবার এক কর্নেল ও মেজর সহ পাঁচজন নিরাপত্তা কর্মী জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়াড়া জেলায় জঙ্গিদের সঙ্গে এক এনকাউন্টারে শহিদ হন। এরপর সোমবার একই এলাকায়য় এক সিআরপিএফ-এর দলের উপরেও হামলার ঘটনা ঘটে। মৃত্যু হয় তিনজনের।

.