মাঝ আকাশে জ্বালানি ভরছে এই যুদ্ধবিমান।
নয়াদিল্লি: প্রথম ব্যাচের পাঁচটি রাফাল বিমান (Rafale Fighter jets in Indian airspace) বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ পৌঁছলো আম্বালা এয়ারবেসে। ইতিমধ্যে ফ্রান্স থেকে সাত হাজার কিমি আকাশপথে পাড়ি দিয়ে এদিন দুপুরেই ভারতের আকাশসীমায় ঢোকে এই বিমানগুলো। সুখোই বিমান এসকর্ট করে এই পাঁচটি বিমানকে আম্বালার উদ্দেশ্যে নিয়ে আসে। বায়ুসেনার গোল্ডেন অ্যারো স্কোয়াড্রনের (Golden Arrow squadron of IAF) সদস্য করা হয়েছে এই বিমানকে। এদিকে, ভারত মহাসাগরে প্রবেশের পরেই ভারতীয় নৌবাহিনীর তরফে এই ফাইটার জেটকে স্বাগত জানানো হয়েছে। আরব সাগরে নোঙর করা আইএনএস কলকাতার সঙ্গে যোগাযোগও স্থাপন করে এই ফাইটার জেটের পাইলটরা। জানা গিয়েছে, মাঝ আকাশে জ্বালানি ভরার পর একবার ইউএইতে অবতরণ করেছিল এই বিমান। তারপরেই আরব সাগর হয়ে ভারতীয় আকাশে প্রবেশ করে এই রাফালে।
এই পাঁচটি বিমানকে স্বাগত জানিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং টুইট করেছেন। ওয়েস্টার্ন ন্যাভাল বেসের তরফে টুইট করে বলা হয়েছে, "ভারত মহাসাগরে তোমাকে স্বাগত। গর্বের সঙ্গে ভারতীয় আকাশে রাজত্ব করো।"
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্রান্সের মারিগনাঁক থেকে মঙ্গলবার আকাশে ওড়ে এই পাঁচটি বিমান। মাঝআকাশে জ্বালানি ভরে ইউএই'র আল-দাফরা এয়ারবেসে সাময়িক বিরতি নিয়ে ফের আম্বালায় উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল এই রাজকীয় বিমান।
এদিকে, এই বিমানকে অম্বালা এয়ারবেসে স্বাগত জানাতে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল এলাকা। পৌঁছে গিয়েছেন বায়ুসেনা প্রধান। অম্বালা এয়ারবেস থেকে পাক সীমান্ত মাত্র ২০০ কিমি। তাই কোনওরকম ঝুঁকি নিতে নারাজ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। বড় জমায়েত ও ক্যামেরা নিয়ে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল প্রশাসন।
ঘিঞ্জি জনবসতি বলে জারি ১৪৪ ধারা। একমাত্র স্থানীয়রা বাড়ির ছাদ থেকে উৎসাহ মেটাতে এই বিমানের অবতরণ দেখেছেন। সূত্রের খবর, পাকিস্তান ও চিন সীমান্ত থেকে খুব কাছে এই আম্বালা এয়ারবেস। পাশাপাশি দিনে পাঁচবার জ্বালানি ভরতে পারে আর পাঁচবার বোমারু বিমান হিসেবে কর্মক্ষম। ২২২২ কিমি/ঘণ্টায় উড়তে সক্ষম এই বিমান, রয়েছে দু'টি ইঞ্জিন। ৫০ হাজার কিমি পর্যন্ত ওপরে উড়তে পারে এই বিমান। রয়েছে মেটেওর ক্ষেপণাস্ত্র, নেক্সটর কামান। পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম এই যুদ্ধবিমান।