This Article is From Dec 02, 2019

সৈকতে দূষণের ফেনা! আশঙ্কাকে হেলায় উড়িয়ে সেলফির মেলা

বড় শহরের ৪০ শতাংশ বর্জ্য ঠিকমতো নিষ্কাশিত হয়। বাকিটা এসে সমুদ্রে মেশে। তার ফলেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

চিকিৎসকরা সতর্ক করে জানিয়েছেন দূষিত এই ফেনা থেকে ত্বকের সমস্যা হতে পারে।

Highlights

  • বিখ্যাত মেরিনা সৈকতে দেখা মিলল সাদা ফেনার
  • চিকিৎসকরা সতর্ক করে জানিয়েছেন দূষিত এই ফেনা থেকে ত্বকের সমস্যা হতে পারে
  • মৎস্যজীবীদের আপাতত সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে
চেন্নাই:

সমুদ্রতটেও দূষণের থাবা। চেন্নাইয়ের বিখ্যাত মেরিনা সৈকতে (Chennai's Marina Beach) দেখা মিলল সাদা ফেনার (Toxic Foam)। গত চারদিন ধরেই এখানকার সৈকতে সমুদ্রে দূষিত সাদা ফেনার দেখা মিলছে। ফেনার অ্যাসিড গন্ধকে উপেক্ষা করে বাচ্চাদের অনেকেই ওই দূষিত ফেনা নিয়ে খেলতে ও তার সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলতে দেখা গিয়েছে। যদিও চিকিৎসকরা সতর্ক করে জানিয়েছেন দূষিত এই ফেনা থেকে ত্বকের সমস্যা হতে পারে। প্রতি বছরই এই ধরনের ফেনার দেখা মেলে বর্ষাকালে। কিন্তু এবার সেই ছবি আরও ভয়ঙ্কর। মৎস্যজীবীদেরও আপাতত সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে।

কিন্তু সমস্ত সতর্কতা ও নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ছোট ছোট বাচ্চাদের দিব্যি খেলতে দেখা গিয়েছে সৈকতে। তাদের অভিভাবকরা কোনও রকম সাবধানতা দেখাননি।

প্রসঙ্গত, তামিলনাডু দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড জানিয়েছে, সৈকতের কয়েক কিলোমিটার জুড়ে ছড়িয়ে থাকা ফেনার নমুনা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

চেন্নাইয়ের ‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর কোস্টার রিসার্চ'-এর বিজ্ঞানী প্রভাকর মিশ্র জানিয়েছেন, ‘‘ওই ফেনার মধ্যে যাওয়াটা একেবারেই ভাল নয়। তবুও ওরা ঝুঁকিটা বুঝতে রাজি নয়।''

২০১৭ সালে সমুদ্রে দূষণের ফলে প্রচুর মাছ মারা গিয়েছিল। এবারও বিজ্ঞানীরা সতর্ক রয়েছেন। মৎস্যজীবী ৩০ বছরের জয়াসিলান জানাচ্ছেন, যে অল্পবিস্তর মাছ তিনি ও বাকিরা ধরতে সক্ষম হয়েছেন, তা কিনতে রাজি নন ক্রেতারা। তিনি জানাচ্ছেন, ‘‘সকলেই মনে করছেন, মাছগুলি বিষাক্ত। আমার সমস্ত খরচ বৃথা হয়ে গেল।''

Advertisement

কেন এমন ভয়াবহ অবস্থা? বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সম্প্রতি হওয়া প্রবল বৃষ্টিতে অপরিশোধিত নিকাশী ও ফসফেট সমুদ্রের নীচে চলে যাওয়াতেই এই দূষণ সৃষ্টি হয়েছে।

প্রভাকর মিশ্রর মতে অধিকাংশ ফেনাই আসছে কাপড় কাচা সাবানের অবশেষ থেকে। যা অন্য বর্জ্যের সঙ্গে গিয়ে মিশছে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, চেন্নাই ও অন্যান্য বড় শহরের ৪০ শতাংশ বর্জ্য ঠিকমতো নিষ্কাশিত হয়। বাকিটা এসে সমুদ্রে মেশে। তার ফলেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

Advertisement

প্রভাকর মিশ্র জানাচ্ছেন, দিল্লিতে যেমন দূষণ পর্যবেক্ষণ করার বিভিন্ন কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে তেমনটাই চেন্নাইতেও করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

তিনি জানাচ্ছেন, ‘‘দূষণ এখন সৈকতের ক্ষেত্রে বড় বিপদ ফুলে ওঠা সমুদ্রের থেকেও।''

Advertisement