এখানে রইল ১০'টি তথ্য:
কেন্দ্রের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “কোনও কর্মী কোনওভাবে যদি ধর্মঘটে যোগ দেয়, তাহলে মজুরি কাটা, এবং তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে”। এদিনের এই বিজ্ঞপ্তিতে তরফে আরও বলা হয়েছে, কোনওরকম প্রতিবাদ, বিক্ষোভ বা ধর্মঘটে যোগ দেওয়া নিষেধ সরকারি কর্মীদের।
সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশ তুলে ধরে বলা হয়েছে, সরকারি আধিকারিকদের “প্রস্তাবিত ধর্মঘটের সময় কোনও ক্যাসুয়াল লিভ বা ছুটি মঞ্জুর করতে নিষেধ করা হয়েছে”, এবং সিআইএসএফ কে সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে।
সোমবারের সাংবাদিক সম্মেলনে একাধিক উদ্বেগের কথা তুলে ধরেছে সিটু, তারমধ্যে রয়েছে সমস্ত কর্মীদের জন্য নূন্যতম মজুরি নির্দিষ্ট করা। কেরলের সিটু নেতা এলামারাম করিমকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, “সমস্ত কর্মীদের নূন্যতম মজুরি ২১,০০০ টাকা নির্দিষ্ট করা সহ আমরা একাধিক দাবি তুলছি আমরা”।
শ্রমিক সংগঠনগুলির অভিযোগ, আর্থিক সঙ্কটের মোকাবিলায় ব্যর্থ সরকার, সরকারি সংস্থাগুলি বিক্রি এবং বেসরকারিকরণে ব্যস্ত। সরকারি পদক্ষেপ “জাতীয় স্বার্থ এবং উন্নয়নের পক্ষে ক্ষতিকারক”।
সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে, “বেসরকারি সংস্থার হাতে বিক্রি করা হয়েছে ১২টি বিমানবন্দর...এয়ার ইন্ডিয়ার ১০০ শতাংশ বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে...বিএসএনএল এবং এমটিএনএলের সংযুক্তিকরণে্র ঘোষণা হয়েছে এবং কাজ হারিয়েছেন ৯৩,৬০০ টেকিলম ক্ষেত্রের কর্মী”।
অসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরির এয়ার ইন্ডিয়া এবং ভারত পেট্রোলিয়ামের বেসরকারিকরণ একমাত্র বিকল্প মন্তব্যকে তুলে ধরেছেন ইউনিয়নের নেতারা-গতমাসে ১ লক্ষ কোটি টাকা তুলতে ৫৩.২৯ শতাংশ শেয়ার বিক্রির অনুমোদন করেছে কেন্দ্র।
গত সপ্তাহে শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার, তিনি সেই বৈঠকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের আর্জি জানালেও তা সফল হয়নি। ভারতীয় শ্রমিক সম্মলনেও অসন্তোষ রয়েছে শ্রমিক সংগঠনের, কেন্দ্রীয় শ্রম ও বেকারত্ব বিষয় মন্ত্রকের সঙ্গে শ্রমিক সংগঠনের বৈঠক এটি, ২০১৫ থেকে এই বৈঠক হয়নি।
রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট এবং ধর্মঘটে যাতে দৈনন্দিন জীবন যাতে কোনওভাবে বিঘ্নিত না হয় সেদিকে নজর রাখতে বলেছে।
ধর্মঘটে সমর্থনের সম্ভবনা রয়েছে আইএনটিইউসি, এআইটিইউসি, এসএফডব্লুএ এবং লেবার প্রোগ্রেসিভ ফেডারেশনের।
১৭৫ টি কৃষক ও কৃষি কর্মীদের যৌথ মঞ্চের তরফে বলা হয়েছে কর্মীদের দাবিদাওয়াকে সমর্থন করছে তারা এবং বুধবারটিকে গ্রামীণ ভারত বনধ্ হিসেবে পালন করবে তারা।