মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজওয়াড়ায় বাইক চালাতে চালাতে মোবাইল ফোনে কথা বলার কারণে সুবেদার অরুণ সিং একজন লোককে ধরেন
ইন্দোর: ট্র্যাফিক আইন সকলের জন্যই। তাই কোনও রাজনৈতিক নেতা সেই আইন না মানলে সকলের জন্য যা প্রযোজ্য শাস্তি, তাই লাগু হবে তাঁর উপরেও। এমনটাই জানতেন সুবেদার অরুণ সিং। ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন নিয়ে একজন রাজনীতিবিদের সাথে বচসায় জড়িয়ে পড়া ওই ট্রাফিক পুলিশের একটি ভিডিও মঙ্গলবার ইন্দোরের রাজওয়াড়ার সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে যায়। তবে নেতার বিরুদ্ধে সাহসী হওয়ার ‘পুরস্কার' স্বরূপ তাঁকে পাঠানো হয়েছে ‘স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট' (stress management)-এর এক সপ্তাহের সেশনে। ভিডিওতে সুবেদার অরুণ সিং ও মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সেক্রেটারি অখিলেশ জৈন (গোপি) ট্রাফিক ভাঙা নিয়ে বিতর্ক করছেন দেখা যায়। ওই পুলিশকর্মী জানান, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বালা বচ্চনের নাম করে তাঁকে হুমকির দিলেও তিনি ট্রাফিক আইন ভাঙা নিয়ে যা শাস্তি হয়, সেই শাস্তিই দেবেন।
৮ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া সন্তানকে ফেসবুক থেকে খুঁজে পেলেন মা
ওই ভিডিওতে তাঁকে বলতে দেখা যায়, “আমার নাম সুবেদার অরুণ সিং (Subedar Arun Singh)। আমি কংগ্রেস সরকারের হুমকিতে ভয় পাই না। ট্রাফিক নিয়ম ভেঙে যে কেউ গাড়ি চালাবে আমি তাঁর বিরুদ্ধে চালান কাটব।” এমন সাহস দেখিয়ে যদিও প্রশংসা মেলেনি তাঁর। বদলে জুটেছে শাস্তি। অরুণ সিংয়ের আচরণকে ‘অযাচিত' বলে উল্লেখ করে পুলিশ সুপার রুচিবর্ধন মিশ্র বলেন, “এটাশাস্তি নয়। আমি সুবেদার অরুণ সিংয়ের সাথে কথা বলেছিলাম, দীর্ঘসময়ের দায়িত্বের কারণে এক একজনের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বেশি চাপ নিয়ে ফেলেন তাঁরা। কিন্তু গতকাল যা ঘটেছিল তা একটু বেশিই ছিল। হয়তো উনি চাপে ছিলেন। আমি নিশ্চিত যে এই প্রশিক্ষণ অধিবেশনে অরুণ সিং কিছুটা চাপ থেকে মুক্তি পাবেন।"
‘মোদির বায়োপিক না চৌকিদারের ডান্ডা' কোনটাকে ভয় কংগ্রেসের? প্রশ্ন বিবেকের
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজওয়াড়ায় বাইক চালাতে চালাতে মোবাইল ফোনে কথা বলার কারণে সুবেদার অরুণ সিং একজন লোককে ধরেন। লোকটি অখিলেশ জৈনকে (Akhilesh Jain) ফোন করে। অখিলেশও সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান এবং পুলিশের সাথে বচসায় জুড়ে যান।