ট্রেনে আগুন লাগানোর মতো ঘটনায় বিপর্যস্ত ট্রেন চলাচল।
পূর্ব রেলওয়ে (Eastern Railway) থেকে উত্তরবঙ্গের দিকে (Train Towards North Bengal)রেল পরিষেবা একেবারে বন্ধ রয়েছে। পূর্ব রেলের মুখপাত্র নিখিল চক্রবর্তী জানিয়েছেন, মালদা জেলার পরে আর কোনও ট্রেনই যাচ্ছে না। হাওড়া, শিয়ালদা এবং কলকাতা স্টেশন থেকে উত্তরবঙ্গে যাওয়ার সমস্ত ট্রেন বন্ধ রয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গে না গেলেও এই তিন স্টেশন থেকে অন্য রাজ্যের রেল পরিষেবা বন্ধ হয়নি। লোকাল, প্যাসেঞ্জার ও এক্সপ্রেস ট্রেন এখনও বাতিল রয়েছে কৃষ্ণনগর-লালগোলা, আজিমগঞ্জ-নিউ ফারাক্কা, নলহাটি-আজিমগঞ্জ, শিয়ালদা-বজবজ লাইনে। এদিকে নর্থ-ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ে বা এনএফআর গত সপ্তাহ থেকেই তাদের সমস্ত ট্রেন বাতিল করে দিয়েছে নাগরিকত্ব বিল ঘিরে তৈরি হওয়া বিক্ষোভ-হিংসার পর। তবে কোনও কোনও পরিষেবা এখনও চালু রয়েছে বলে এনএফআর-এর সিপিআরও শুভানন চন্দ একথা জানিয়েছেন।
রাজ্যের পরিস্থিতি দেখে এনএফআর অঞ্চল থেকে পূর্ব রেলে আসার সমস্ত ট্রেন বাতিল করা হয় সোমবার। এর মধ্যে ১৯টি দূরপাল্লার ট্রেন রয়েছে।
শুভানন চন্দ জানান, ১৩ ডিসেম্বর থেকে শিলচর ও আগরতলার রাতের ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। পরের দিন ডিব্রুগড়-রাজধানীও স্বাভাবিক ভাবে চলাচল শুরু হয়।
তিনি বলেন, ‘‘উত্তর-পূর্ব থেকে সমস্ত ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ব্রহ্মপুত্র মেল, আওয়াধ-অসম এক্সপ্রেস, নর্থ-ইস্ট এক্সপ্রেস ও সম্পর্ক ক্রান্তি এক্সপ্রেস। তবে ট্রেনগুলি মালদার পরিবর্তে আলিপুরদুয়ার ও কাটিহার হয়ে আসছে।''
তবে এর পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, এনএফআর-এৱ অধীনে লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে, কেবল বারাক উপত্যকা ও আগরতলা ছাড়া। এনএফআর থেকে দক্ষিণ ভারত যাওয়ার ট্রেনও বাতিল রয়েছে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবারের মহামিছিলে প্রশ্ন তোলেন, কয়েকটি ট্রেন পোড়ানো হয়েছে বলে কেন রাজ্যের বেশির ভাগ অঞ্চলে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হল।
গত বুধবার রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব বিল পাস হয়ে যাওয়ার পর থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ। রাস্তা বন্ধ ও ট্রেনে আগুন লাগানোর মতো ঘটনায় বিপর্যস্ত যান চলাচল। ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় বিপুল সংখ্যক যাত্রীদের সমস্যায় পড়তে হয়েছে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)