মণিশ, নীরব মোদীর বিরুদ্ধে তদন্ত চালানো সিবিআই দলেরও সদস্য।
হাইলাইটস
- সুপ্রিম কোর্টে নিজের বক্তব্য জানিয়েছেন মণিশকুমার সিং নামে ওই আধিকারিক
- সিবিআইতে সাম্প্রতিক গোলমালের সময় তাঁকে নাগপুরে বদল করা হয়
- প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেন আমরা আর কিছুতেই আশ্চর্য হই না
নিউ দিল্লি: সিবিআইয়ের স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে তদন্ত করা এক আধিকারিক দাবি করলেন বসায়ীর বিরুদ্ধে চলা তদন্তে হস্তক্ষেপ করতে কয়েক কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী! সুপ্রিম কোর্টে নিজের বক্তব্য জানিয়েছেন মণিশকুমার সিং নামে ওই আধিকারিক। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থায় সাম্প্রতিক গোলমালের সময় তাঁকে নাগপুরে বদলি করা হয়। এই বদলিকে চ্যালেঞ্জ করেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মণিশ। তাঁর দাবি তাঁকে আচমকা বদলি করে রাকেশের বিরুদ্ধে তদন্তকে অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ কথা শুনে প্রধান বিচারপতি বলেন আমরা আর কিছুতেই আশ্চর্য হই না। তবে সিবিআই আধিকারিকের মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
সিবিআই অধিকর্তা অলোক বর্মার বিরুদ্ধে জমা পড়া রিপোর্ট মিশ্র বলল সুপ্রিম কোর্ট, দশটি তথ্য
রাকেশের অভিযোগ হায়দরাবাদের ব্যবসায়ী সতীশ সানা সিবিআইয়ের অধিকর্তা অলোক বর্মাকে ঘুষ দিয়েছেন। মাংস ব্যবসায়ীর মহম্মদ কুরেশির বিরুদ্ধে চলা তদন্তকে প্রভাবিত করতেই এই টাকা দেওয়া হয়েছে। পাল্টা রাকেশের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ এনেছেন অলোক। দায়ের হয়েছে মামলা । দুই শীর্ষ কর্তার এ লড়াই আপাতত আদালতে বিচারাধীন।
নতুন মামলার আধিকারিক মণিশ, নীরব মোদীর বিরুদ্ধে তদন্ত চালানো সিবিআই দলেরও সদস্য। আদালতে তাঁর দাবি অক্টোবর মাসের ২৪ তারিখ তাঁকে যেভাবে আচমকা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তার নেপথ্যে নির্দিষ্ট কারণ আছে। তদন্তের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা তথ্য প্রমাণ নষ্ট হওয়ার ভয়ও পাচ্ছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের সচিব সুরেশ চন্দ্রকেও জড়িয়েছেন মনিশ। তাঁর দাবি সচিব নীরব মোদীর বিরুদ্ধে চলা তদন্তের কারণে লন্ডনে থাকার সময় সতীশ রানার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেব এবং ঘুরপথে নিরাপদে দেশে ফেরার বার্তাও পৌঁছে দেন। এই দাবি অবশ্য মানতে রাজি হননি সুরেশ। তিনি জানান সতীশ রানা নামে কারও সঙ্গে তাঁর পরিচয় নেই।