This Article is From Oct 13, 2019

নিষেধাজ্ঞা উঠতেই ভূস্বর্গে আসার জন্য উন্মুখ বাঙালি, জানাচ্ছে পর্যটন অফিস

দুর্গাপুজোয় বাঙালির কাশ্মীর যাওয়া হয়নি। তাই এবার রাজ্যবাসী বেরিয়ে পড়তে উন্মুখ ভূস্বর্গ পরিদর্শনে।

নিষেধাজ্ঞা উঠতেই ভূস্বর্গে আসার জন্য উন্মুখ বাঙালি, জানাচ্ছে পর্যটন অফিস

জম্মু ও কাশ্মীরে যাওয়ার কৌতূহল ও আগ্রহ ক্রমেই বাড়তে শুরু করেছে বাঙালিদের মধ্যে।

বহু প্রতীক্ষিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা উঠেছে জম্মু ও কাশ্মীর (J&K) থেকে। আর তারপরই জেগে উঠেছে পর্যটকদের আগ্রহ। ভূস্বর্গে ভ্রমণের উৎসাহ বাড়ছে বাঙালির (Bengali Tourist) মধ্যে। আর তাই স্থানীয় ট্যুরিজম (Kashmir Tour) অফিসে সকলেরই খবর নিচ্ছেন নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পরে কাশ্মীরে যাওয়ার ব্যাপারে। দুর্গাপুজোয় বাঙালির কাশ্মীর যাওয়া হয়নি। তাই এবার রাজ্যবাসী বেরিয়ে পড়তে উন্মুখ ভূস্বর্গ পরিদর্শনে। কলকাতার জম্মু ও কাশ্মীর ট্যুরিস্ট অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক আহসান-উল-হক জানাচ্ছেন, জম্মু ও কাশ্মীরে যাওয়ার কৌতূহল ও আগ্রহ ক্রমেই বাড়তে শুরু করেছে বাঙালিদের মধ্যে। প্রসঙ্গত, গুজরাতের পর এই রাজ্য থেকেই সব থেকে বেশি পর্যটক যান ওই রাজ্যে।

জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাচীন ধর্মীয় সৌধর সংস্কারে খরচ ৮৪ কোটি টাকা: বিজেপি

সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘এমনকী, নিষেধাজ্ঞা চলার সময়ও বাংলার বহু ভ্রমণপিপাসু পর্যটক ওখানে যাও?আর ব্যাপারে অনুসন্ধান করতে এসেছেন আমাদের কাছে।'' তিনি বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগামী সোমবার থেকে পোস্টপেইড মোবাইল ফোন পরিষেবা চালু হবে। এরপরই কাশ্মীর আবারও পর্যটন মানচিত্রে উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

বর্ষার পরে আবার খুলল অসমের কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান

ওই আধিকারিক জানাচ্ছেন, মোবাইল সংযোগের সমস্যাই রাজ্যের পর্যটন শিল্পের উপরে প্রভাব ফেলেছিল। এর ফলে আগে থেকে বুকিং করে রাখা পর্যটকরা আর হোটেল ও ট্র্যাভেল অপারেটরদের সঙ্গে যোগাযোগ করে উঠতে পারেননি।

গত ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলে করে জম্মু ও কাশ্মীরের ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস' তুলে নিয়ে তাকে দু'টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার বিল পাস করার পরেই বিজেপি সরকার কাশ্মীর উপত্যকায় যে নিষেধাজ্ঞা জারি কেরেছিল তা ছিল ৬৯ দিন। অবশেষে ১০ অক্টোবর থেকে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। শনিবার ঘোষণা করা করা হয়েছে, এখানকার ৪০ লক্ষ পোস্টপেড মোবাইল ফোন আবার কার্যকরী হবে সোমবার থেকে।

‘ট্র্যাভেল এজেন্টস কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া'-র চেয়ারম্যান (পূর্ব) অনিল পাঞ্জাবি জানিয়েছেন কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ খোঁজখবর নিচ্ছেন এখানে বেড়াতে আসার ব্যাপারে। তিনি বলেন, ‘‘নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর আমরা আশা করছি প্রচুর পরিমাণে পর্যটক পশ্চিমবঙ্গ থেকে কাশ্মীরে আসবেন।''

তিনি বলেন, ২০১৮ সালের দুর্গাপুজোয় প্রায় ৩,৫০০ পর্যটক এই রাজ্য থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে যান। কিন্তু এবার নিষেধাজ্ঞার কারণে কেউই আসতে পারেননি। ফলে মানুষের মধ্যে আগ্রহ ক্রমে বাড়ছে। ২০২০ সালে পর্যটকের সংখ্যা তিন গুণ বাড়তে বলে তাঁর আশা।

তিনি বলেন, তাঁর পরিকল্পনা রয়েছে ট্যুর অপারেটরদের প্রতিনিধি দলকে নভেম্বরে জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ে আসবেন এজেন্ট ও হোটেলগুলির সঙ্গে জোট বাঁধার জন্য। পাশাপাশি তাঁদেরও কলকাতায় আসতে অনুরোধ করবেন একই কারণে।

তিনি বলেন, নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও অপরাধের সংখ্যা কম হওয়ার পাশাপাশি মহিলা পর্যটকের জন্য নিরাপদ হওয়ার কারণে তাঁদের সংখ্যাও বাড়বে।

তিনি জানান, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ইতিহাসের গবেষণারত ছাত্রী অবন্তীপুরায় প্রাচীন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষে বেড়াতে এলে তাঁরা তাঁকে প্রয়োজনীয় তথ্য দেন।

ভিডিও দেখুন



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.