কাকদ্বীপ/কলকাতা: মাঝ সমুদ্রে না যাওয়ার নিষেধ ছিল কর্তৃপক্ষের। তবু সাবধানবাণী উপেক্ষা করেই গভীর বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) গিয়ে দু'টি মাছ ধরার ট্রলার উলটে নিখোঁজ হন ৩১ জন জেলে। নিখোঁজ জেলেদের মধ্যে ৬ জন জেলেকে সোমবার উদ্ধার করা গিয়েছে বলে খবর, কিন্তু ২৫ জন এখনও নিখোঁজ। কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী সংগঠনের সচিব নিকন মাইতি জানান, বাংলাদেশের হরিভাঙ্গা থেকে অন্য জেলেরা এফবি দশভূজা থেকে ৬ জন জেলেকে উদ্ধার করেন এবং সোমবার সকালেই তাঁদের কাকদ্বীপে নিয়ে আসা হয়। পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নামখানা থেকে নিখোঁজ মৎস্যজীবীরা বৃহস্পতিবার চারটি ট্রলার - এফবি নয়ন, এফবি দশভূজা, এফবি বাবাজি এবং এফবি জয় যোগীরাজে যাত্রা শুরু করে। এফবি দশভূজা, এফবি জয় যোগীরাজ ও এফবি বাবাজি ডুবে গিয়েছে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে এফবি জয় যোগীরাজ ও এফবি বাবাজি থেকে ১৫ জন করে জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
কলকাতায় প্রতিরক্ষা বিভাগের এক কর্তা জানান, উপকূলীয় রক্ষীবাহিনী প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেই আরও ১৩ জন জেলেকে উদ্ধার করেছে। সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা (Sundarban Development Minister Manturam Pakhira) জানান, নিখোঁজ ৩১ জন জেলে বৃহস্পতিবার এফবি নয়ন ও এফবি দশভূজা (FB Nayan and FB Dashabhuja) নামের দু'টি ট্রলারে নামখানা থেকে যাত্রা শুরু করে। রোববার দুপুরে খারাপ আবহাওয়া ও উত্তাল সমুদ্রের কারণে তাঁদের সঙ্গে সব যোগাযোগ নষ্ট হয়ে যায় বলে তিনি জানান। পশ্চিমবঙ্গের ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের (West Bengal Fishermen Association) তরফে এই খবর পাওয়ার পর অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানের ব্যবস্থা করার জন্য দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন মন্টুরাম।
ডানা ছাঁটা হল বিধাননগরের মেয়রের! মুকুল রায়ের সঙ্গে সব্যসাচীর বৈঠকে বাড়ছে জল্পনা
অন্যদিকে, ভারতীয় কোস্ট গার্ড (আইসিজি) ও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ‘এফবি তারাশঙ্কর' ট্রলার থেকে আরও ১৩ জনকে উদ্ধার করে কাকদ্বীপ থেকে। নৌকাটিতে একটি প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দে, এই খবর পেয়েই আইসিজি আঞ্চলিক সদর দপ্তর মংলায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড (বিসিজি) পশ্চিমাঞ্চলের সদর দফতরের সাথে যোগাযোগ করে। আইসিজি'র অনুরোধে, নৌবাহিনীর একটি জাহাজ অনুসন্ধান ও উদ্ধারের কাজে নামে।
দেখুন: কীভাবে চোখের নিমেষে জলের তোড়ে তলিয়ে গেল গাড়ি!
বাংলাদেশ নৌবাহিনী ৬ জুলাই সন্ধ্যায় মংলা ফেয়ারওয়ে বোয়ের কাছে ১৩ জন ক্রু সহ ভারতের ওই নৌকাটি দেখতে পায় এবং তা উদ্ধার করে। সমুদ্রের অবস্থা তখন ভীষণই খারাপ। পাঁচ থেকে ছয় মিটার উঁচু উঁচু ঢেউ সত্ত্বেও, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ভারতের এই নৌকাটিকে উদ্ধার করে পুসুর নদীর মুখে নিয়ে আসে। এই জায়গাটি ভারত-বাংলাদেশ সমুদ্র সীমান্তের প্রায় ৬০ নটিক্যাল মাইল পূর্ব দিকে অবস্থিত। সেখানে আরও ১০০ টি ভারতীয় মাছ ধরার নৌকা দেখতে পাওয়া যায়।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)