Lockdown Extension: দেশের অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড় করানোর জন্যে কোনও দিশা দেখাতে ব্যর্থ কেন্দ্রীয় সরকার, বলল তৃণমূল
হাইলাইটস
- ৪ মে থেকে আরও দু'সপ্তাহের জন্যে দেশে জারি লকডাউন
- টানা লকডাউনের ফলে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ধুঁকছে, দাবি তৃণমূলের
- সাংসদ সৌগত রায় বলেন, দেশকে ঘুরে দাঁড় করাতে সঠিক দিশা দেখাক কেন্দ্র
কলকাতা: শুক্রবারই করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণকে বাগে আনতে দেশে জারি লকডাউনের মেয়াদ আগামী ৩ মে-র পরে আরও দু'সপ্তাহ বাড়ানোর (Lockdown Extension) ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু যেভাবে দেশের করোনা পরিস্থিতির সঠিক চিত্র সকলের সামনে না তুলে ধরেই হঠাৎ করে এই লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলো তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনায় সরব তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা সৌগত রায় (Saugato Roy)। বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার লকডাউনের ফলে দেশের অর্থনীতির ধুঁকতে থাকা অবস্থা পুনরুদ্ধারের জন্যে কোনও দিশা দেখাতেও ব্যর্থ, এমন সমালোচনাও করেছে ঘাসফুলের দল (Trinamool Congress)। শুক্রবারই কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করে যে ৪ মে থেকে দেশব্যাপী আরও দু'সপ্তাহ কার্যকর থাকবে লকডাউন। এর ফলে বন্ধ থাকবে দেশের রেল, বিমান ও সমস্ত রকম সড়ক পরিবহণ পরিষেবা। দেশের রেড জোনগুলোতে কড়া বিধিনিষেধ জারি থাকলেও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে দেশের গ্রিন জোনগুলির মানুষজন। তবে অরেঞ্জ জোনের ক্ষেত্রে "সীমিত" লকডাউন বজায় থাকবে বলেও জানায় সরকার।
রেশন নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি ঝামেলা, রানাঘাটে বিক্ষোভ, অশান্তি জলপাইগুড়িতেও
এই প্রসঙ্গেই তৃণমূল নেতা তথা সাংসদ সৌগত রায় সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানান, "আমাদের আরও দু'সপ্তাহ লকডাউন বাড়ানোর বিষয়ে কিছু বলার নেই কারণ ইতিমধ্যেই আমাদের দল জানিয়েছে যে আমরা লকডাউনের সমস্ত বিধিনিষেধ কেন্দ্রের দেওয়া নির্দেশিকাকে অনুসরণ করেই মেনে চলবো। কিন্তু এই লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর সঠিক কারণগুলি সহ সামগ্রিক করোনা পরিস্থিতির বিষয়ে পরিষ্কারভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের সকলকে জানানো উচিত", বলেন তিনি।
করোনার শিকার সিআরপিএফের জওয়ানরাও! আক্রান্ত ১২২ জন, আরও সংক্রমণের আশঙ্কা
সাংসদ সৌগত রায় লকডাউনের ফলে দেশীয় অর্থনীতির বেহাল দশার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন যে, রাজ্যগুলোকে অর্থনৈতিক সাহায্য দেওয়ার বিষয়ে কী ভাবছে কেন্দ্র? তিনি বলেন, "আমরা সকলেই জানি আমরা মহামারীর প্রকোপের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না সেবিষয়ে সরকারকে অবশ্যই ব্যাখ্যা করতে হবে। দেশে সম্প্রদায়গত সংক্রমণ শুরু হয়েছে কিনা তাও স্পষ্ট করে জানানো উচিত। গোটা দেশ চাইছে একটি নির্দিষ্ট দিশা দেখাক কেন্দ্রীয় সরকার। কীভাবে অর্থনীতি চাঙ্গা হবে, অসংগঠিত ও কৃষিক্ষেত্রকে কীভাবে সহায়তা করা হবে সে সম্পর্কে নির্দিষ্ট রোডম্যাপ তৈরি করুক কেন্দ্র। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও আশ্বাসই পাওয়া যায়নি"।
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিস্থিতির মূল্যায়ন করতে কেন্দ্রীয় দল আসে এ রাজ্যে। সেই সফর ঘিরে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। সেই রেশই বজায় রাখতে চাইলেন সাংসদ সৌগত রায়।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)