This Article is From Sep 27, 2019

মির্জার গ্রেফতারিতে কৌশলী তৃণমূল, সরব বিরোধীরা

আইপিএসের গ্রেতারিতে কৌশলী পদক্ষেপ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের, অন্যদিকে, মির্জার গ্রেফতারিকে হাতিয়ার করে সরব বিরোধীরা

মির্জার গ্রেফতারিতে কৌশলী তৃণমূল, সরব বিরোধীরা

নারমা মামলায় বৃহস্পতিবার গ্রেফতার হন এসএমএইচ মির্জা

কলকাতা:

নারদ কেলেঙ্কারিতে (Narada sting case) বৃহস্পতিবার আইপিএস এসএমএইচ মির্জাকে (SMH Mirza) গ্রেফতার করেছে সিবিআই। নারদ স্টিং অপারেশন মামলায় এটাই প্রথম গ্রেফতার। আইপিএসের গ্রেতারিতে কৌশলী পদক্ষেপ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের। অন্যদিকে, মির্জার গ্রেফতারিকে হাতিয়ার করে সরব বিরোধীরা। প্রকৃত সত্য সামনে এলে এই ধরণের ঘটনা আরও প্রত্যক্ষ করা যাবে বলে মন্তব্য করেছে বিরোধী শিবির।তৃণমূলের মহাসচিব তথা রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “যা কিছু হয়েছে, পরিণতি একজনকেই বহন করতে হবে। কে কাকে গ্রেফতার করেছে তা নিয়ে আমি কী বলতে পারি”? তৃণমূল মহাসচিব আরও বলেন, “এই ধরণের ঘটনায় আমি যু্ক্ত নই”।

নারদ মামলায় প্রথম গ্রেফতার আইপিএস এসএমএইচ মির্জা

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন,সত্য সামনে আসা প্রয়োজন এবং আইনি নিষ্পত্তি হওয়া দরকার সারদা ও নারদ কেলেঙ্কারির মতো ঘটনায়। তিনি বলেন, “মির্জাকে ভিডিও বলতে দেখা গিয়েছে, দলের জন্য টাকা তুলতে হত তাঁকে। আমরা চাই সত্যটা সামনে আসুক। সারদা চিটফান্ড এবং নারদ কেলেঙ্কারি, যা প্রকাশ্যে এসেছে, তার আইনি নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন”। তাঁর কথায়, “প্রক্রিয়াটি আরও আগে হওয়া দরকার ছিল। তবেই সিবিআইয়ের ওপর  মানুষের আস্থা বাড়ত। দুর্নীতি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন”। আরেক বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বলেন, এটা গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। তিনি বলেন, “যারা বেআইনি কাজ করেছে, তাদের ভুগতে হবে”।

নারদকাণ্ডে তৃতীয়বার জিজ্ঞাসাবাদ এসএমএইচ মির্জাকে

কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টচার্য প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, মির্জার গ্রেফতারি প্রত্যাশিত ছিল। প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির কথায়,”এটা প্রত্যাশিত ছিল। তিনি যেভাবে টাকা নিয়েছিলেন, তা বারবার সংবাদমাধ্যমে দেখা গিয়েছে। তাঁকে গ্রেফতার করে কোনও ভুল করেনি সিবিআই”।

মির্জাকে হেফাজতে নিতে কেন, সাড়ে তিন বছর সময় লাগল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে, বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, এটা সবেমাত্র শুরু এবং আরও অনেক গ্রেফতারি হবে।

তিনি বলেন, “এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক অবস্থা। দেশের কাছে আমাদের মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে। একজন আইপিএস অফিসার বলছেন, দলের জন্য তাঁকে টাকা তুলতে হচ্ছে। কেন সাড়ে তিন বছর সময় লাগল? মানুষের সামনে যা এসেছে, তা সবাই দেখেছে”। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আরও বলেন, “এটা সবেমাত্র শুরু। আরও অনেক কিছু হবে”।

 



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.