নির্বাচনের ফলাফল প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
পাঁচ রাজ্যে বিজেপির পর কংগ্রেস সহ বিরোধী শিবিরে নতুন করে অক্সিজেনের সঞ্চার হয়েছে। এখন থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কাকে সামনে রেখে বিরোধীরা এই নির্বাচনে লড়বে। মানে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন সেটা নিয়েই জল্পনা। সম্ভাব্য বিরোধী জোটকে আক্রমণ করতেও এই ব্যাপারটাকে বেছে নেয় বিজেপি, এবার এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন তৃণমূল সাংসদ তথা প্রাক্তন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী । এনডিটিভিকে তিনি জানান জোটের মুখ কে হবে তা বেছে নেবে জনতা। সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করেন বিরোধীদের চেহারা কে হবেন? উত্তরে দীনেশ বলেন,চেহারা ঠিক করে জনতা। তাই জনতাকে বাদ দিয়ে চেহারার কথা ভাবলে মানুষ আমাদের ভুলে যাবে। মানুষই চেহারা নির্বাচন করবে। পাশাপাশি তিনি জানান নির্বাচনে জেতার পরও আচরণে বিনম্রতা থাকা উচিত।
বিজেপিকে ‘পরাস্ত' করতে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসকে সমর্থন দেবেন মায়া
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, বিজেপির এই হারের নেপথ্যে একাধিক কারণ রয়েছে। ওরা সাধারণ মানুষকে কষ্ট দিয়েছে। সাধারণ মানুষকে আঘাত করেছে। নোটবাতিলের মতো পদক্ষেপের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠেছে মানুষের।
স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে দায়বদ্ধ তাঁর সরকার, জানালেন মমতা
সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলিকেও দুর্বল করে দিয়েছে বিজেপি। এর বিরুদ্ধে সমস্ত আঞ্চলিক দলকে এক হয়ে লড়তে হবে। একটি শক্তিশালী ফেডারেল ফ্রন্ট গঠন করার মানে একটি শক্তিশালী ভারত গঠন করা। গোটা দেশ থেকে বিজেপির শক্তি কমে আসছে। ওদের অবস্থা দিনদিন খারাপ হচ্ছে। মানুষ এখন শুধু অপেক্ষা করছে লোকসভা ভোটে বিজেপিকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার। কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। এটাই বিজেপির শেষের শুরু।
বিরোধীদের নেতা কে তা নিয়ে আগেও আলোচনা হয়েছে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু রাহুল গান্ধি অনেক বিরোধী নেতাই বলেছেন নেতা এখন ঠিক হবে না। ভোটের ফল প্রকাশিত হওয়া পরই হবে নেতা নির্বাচন।
দেখুন ভিডিও :