This Article is From Feb 01, 2019

বিজেপি যাতে দল ভাঙাতে না পারে তার জন্য বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে কথা বলবে তৃণমূল নেতৃত্ব

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল নেতার কথায়, সামনেই লোকসভা নির্বাচন। এই সময় আমাদের দল ছেড়ে কোনও নেতা বা নেত্রী অন্য দলে গিয়ে যোগ দিক, তা স্বাভাবিকভাবেই দলের হাইকম্যান্ড চায় না।

বিজেপি যাতে দল ভাঙাতে না পারে তার জন্য বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে কথা বলবে তৃণমূল নেতৃত্ব

সৌমিত্র খাঁ’কে বহিষ্কার করে দিয়েছিল তৃণমূল। তিনি যোগ দেন বিজেপিতে।

কলকাতা:

লোকসভা নির্বাচনের আগে যাতে বিজেপি তাদের দল ভাঙাতে না পারে, সেই লক্ষ্যে এবার দলের বিক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে কথা বলবে তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও, পশ্চিমবঙ্গের বিরোধীদের মধ্যে, বিশেষ করে কংগ্রেস এবং বিজেপি, বরাবরই তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দল ভাঙানোর অভিযোগ করে এসেছে। দলের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব সামলানোর ব্যাপারেও বরাবরই সচেষ্ট তৃণমূল নেতৃত্ব। এর ফলে যে দলের ভিতরেই বহু অসন্তোষ রয়েছে, তাও অজানা নয় কারও। গত বছরই বিজেপির জাতীয় সভাপতি অমিত শাহ রাজ্যের ৪২'টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ২২'টি আসনে জেতার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দিয়েছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের কাছে। তার কয়েকদিন বাদেই সকলকে চমকে দিয়ে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌমিত্র খাঁ যোগ দেন গেরুয়া শিবিরে।

এই বাজেট প্রহসন, বিজেপি নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করেছে, বললেন মমতা

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই রাজ্যে বিজেপির ফল, অন্তত এই রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ক্ষেত্রে, দলটির ইতিহাসে সর্বোত্তম। সৌমিত্র খাঁ'কে বহিষ্কার করে দিয়েছিল তৃণমূল। দলবিরোধী কাজ করার জন্য বহিষ্কৃত হন আরও এক সাংসদ, অনুপম হাজরা। তৃণমূলের পক্ষ থেকে তখন স্পষ্ট জানানো হয়েছিল, এই নেতাদের দলবদলে তাদের কোনও সমস্যা হবে না।

দলীয় সূত্রে যদিও জানা যাচ্ছে একদম অন্য কথা। উঠে আসছে অন্য চিত্র। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল নেতার কথায়, সামনেই লোকসভা নির্বাচন। এই সময় আমাদের দল ছেড়ে কোনও নেতা বা নেত্রী অন্য দলে গিয়ে যোগ দিক, তা স্বাভাবিকভাবেই দলের হাইকম্যান্ড চায় না। সেই কারণে, ইতিমধ্যেই বিক্ষুব্ধ অথবা অচিরেই বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে পারেন এমন নেতা ও কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলীয় নেতৃত্ব।

“দৈনিক ১৭ টাকা, কৃষকদের অপমান”, ট্যুইট করে কটাক্ষ রাহুলের

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ওই তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের এক মন্ত্রী বলেন, আমার নিজের এলাকায় কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যাতে না হয় দলের মধ্যে, তার দিকে কড়া নজর রেখেছিলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয়, রাশটা পুরোপুরি আমার হাতে থাকল না। বেশ কয়েকটা ঘটনার দ্বারা ‘প্রভাবিত' হয়ে দলে সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব লেগেই গেল। এই ব্যাপারটিকে আটকানোর জন্য, সবার আগে প্রয়োজন গভীর রাজনৈতিক শিক্ষা। এই মুহূর্তে দেশের রাজনীতি কী পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তা বুঝতে চাইলে এই শিক্ষা না থাকলে হবে না।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.