This Article is From Jan 29, 2019

বাংলা দখলের স্বপ্ন দেখা ছেড়ে বিজেপি কেন্দ্রে নিজের জায়গা বাঁচাক, বলছে তৃণমূল

তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, অমিত শাহ দিবাস্বপ্ন দেখছেন। আগে কেন্দ্রে নিজেদের সরকারকে রক্ষা করার কথা ভাবুক বিজেপি। দেশের মানুষ ওদের তাড়াবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছে।

বাংলা দখলের স্বপ্ন দেখা ছেড়ে বিজেপি কেন্দ্রে নিজের জায়গা বাঁচাক, বলছে তৃণমূল
কলকাতা:

মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে সভা করতে আসেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি অমিত শাহ। কাঁথির জনসভা থেকে তিনি বলেন, রাজ্যে কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কিন্তু বোমার কারখানা খোলা হচ্ছে। চিত্রকরের ছবি এক লাখ  টাকায় বিক্রি হয়। মুখ্যমন্ত্রীর ছবি চিটফান্ড মালিকরা কেনেন।  একবার পরিবর্তন  করুন। চিটফান্ডের টাকা  ফিরিয়ে দেব। অনুপ্রবেশকারীরা  তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্ক। অনুপ্রবেশকারীদের ছাড়া সরকার বিজেপি ছাড়া আর কেউ বানাতে পারবেন না। এরপর  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলে দেওয়ার অভিযোগ আনেন বিজেপি সভাপতি। বলেন, বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্পের নাম বদলে হচ্ছে  কন্যাশ্রী, প্রধানমন্ত্রী  সড়ক যোজনার নামও বদলে দেওয়া হয়েছে। ২ টাকা  কিলো দরে চাল মোদী সরকার দেয়।  আর নাম কেনে মুখ্যমন্ত্রীর দল। নরেন্দ্র মোদীর সরকার বাংলাকে উন্নয়নের কাজে  ৮ লাখ কোটি টাকা দিয়েছে। সেই টাকা দিয়ে কী হয়েছে,  কেউ জানে না।    

কাঁথিতে অমিত শাহ'র সভা শেষ হওয়ার পরেই ভয়াবহ সংঘর্ষে জড়াল বিজেপি-তৃণমূল

সেই সভা শেষ হওয়ার পর তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে তুমুল সংঘর্ষও হয়। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল তাদের দলীয় কর্মীদের বাইক ও বাস জ্বালিয়ে দিয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি ভাংচুর চালিয়েছে তাদের দলীয় কার্যালয়ে। এর মাঝেই রাজ্যের তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে সপাট আক্রমণ ফিরিয়ে দেওয়া হল অমিত শাহের উদ্দেশে। বলা হল, বাংলা দখল করার স্বপ্ন দেখা ছেড়ে কেন্দ্রে নিজেদের দলকে আগে বাঁচিয়ে দেখান অমিত শাহ।

উনি তো সব দেখেও 'অন্ধ' হয়ে রয়েছেন ধৃতরাষ্ট্রের মতো, মমতাকে তোপ বিপ্লব দেবের

তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, অমিত শাহ দিবাস্বপ্ন দেখছেন। আগে কেন্দ্রে নিজেদের সরকারকে রক্ষা করার কথা ভাবুক বিজেপি। দেশের মানুষ ওদের তাড়াবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছে।

তাঁর কথায়, গণতন্ত্র ও মানুষের সাংবিধানিক অধিকার নিয়ে বড় বড় কথা বলা ছেড়ে ওরা একবার নিজেদের দিকে আয়নাটা ঘোরাক। ওরা যদি সত্যি সত্যিই ঠিকভাবে সরকারটা চালাত, তাহলে হিন্দি বলয়ের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড় থেকে এভাবে ধূলিসাৎ হয়ে যেত না।

চিটফান্ড নিয়ে অমিত শাহর আক্রমণের জবাবও দেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, এই অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যে। এই এক ভাঙা রেকর্ড তো ওরা (বিজেপি) গত বেশ কয়েক বছর ধরে বাজিয়ে যাচ্ছে। এই সব বাজে কথা না বলে, প্রমাণ দিক না। দেশে তো আইন বলে একটা বস্তু আছে নাকি!



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.