বিজেপির বিরুদ্ধে আরও শক্তিশালি হয়ে লড়াইয়ের জন্যই তৃণমূলে তিনি যোগ দিয়েছেন বলে জানান মৌসম নূর
হাইলাইটস
- মৌসম নূরের প্রস্থানের পর তৃণমূলকে আক্রমণ কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ-এর
- এরপর আর তৃণমূলের সঙ্গে জোট গড়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানান তিনি
- কংগ্রেসের অপর নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, এতে তেমন বড় ক্ষতি হবে না
কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি-বিরোধী মহাজোট গড়তে গিয়ে একের পর এক বড় ‘বাধা'র সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাঁদের দলকে, এমনটা মনে করেন নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতা। উত্তর-মালদার সাংসদ কংগ্রেসের মৌসম বেনজির নূরের কংগ্রেস ত্যাগ করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর সেই বিতর্কেই ঘি পড়ল আরও একবার। কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে তীব্র আক্রমণ করলেন। “কংগ্রেস ছেড়ে মৌসম নূরের বেরিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি অত্যন্ত হতাশাব্যঞ্জক। যদিও, এই কথাটি অনস্বীকার্য যে, তৃণমূল কংগ্রেস যতই বিরোধী জোট নিয়ে কথা বলুক না কেন, ওদের আসল লক্ষ্য হল বিজেপিকে সাহায্য করা”। তিনি তার সঙ্গে এই কথাটিও যোগ করেন যে, এই ঘটনার পর তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট করার আর কোনও সম্ভাবনা রইল না বললেই চলে।
আরও পড়ুনঃ বিজেপিকে একবার সুযোগ দিন মোদীর নেতৃত্বে সোনার বাংলা নির্মাণ হবে: অমিত শাহ
সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গিয়ে উত্তর-মালদার ৩৯ বছর বয়সী সাংসদ যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। যোগ দেওয়ার পরেই কংগ্রেসের প্রয়াত কিংবদন্তী নেতা গণি খান চৌধুরীর ভাগ্নিকে আগামী লোকসভা নির্বাচনে উত্তর-মালদা কেন্দ্রীর তৃণমূল প্রার্থী এবং তৃণমদল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব সঁপে দেওয়া হয়।
দু'বারের সাংসদ মৌসম বেনজির নূর বলেন, পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিজেপিকে তাড়ানোর জন্য সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করে তোলার লক্ষ্যে তিনি যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। তাঁর কথায়, দিদির দ্বারা প্রবলভাবে অনুপ্রাণিত হই আমি। রাজ্যের উন্নয়নের জন্য আমি তাঁর নেতৃত্বে তাঁর নির্দেশে নিজের সেরাটা দিয়ে কাজ করে যাব। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে আমাদের। এছাড়া, আমি একটা ব্যাপারে অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী যে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের মোট ৪২'টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪২'টিতেই জয়লাভ করবে তৃণমূল কংগ্রেস”।
কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য প্রদীপ ভট্টাচার্য যদিও মৌসম নূরের প্রস্থানকে বড় করে দেখতে রাজি নন। তিনি বলেন, দল কোনও বিশেষ নেতা বা নেত্রীর থেকেও অনেক বেশি করে নির্ভর করে থাকে দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের ওপর। তাঁরা যতদিন থাকবেন, ততদিন দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই বলেই মনে করি।