This Article is From Feb 12, 2019

হুগলির দাতপুর থেকে উদ্ধার তৃণমূল নেতার দেহ, নেপথ্যে বিজেপি দাবি শাসক দলের

আরও এক তৃণমূল  নেতার মৃত্যু  ঘিরে  রহস্য দানা বাঁধল। পূর্ব মেদিনীপুরের মরিশদার বাসিন্দা রীতেশ রায়ের দেহ উদ্ধার হল হুগলি থেকে।

হুগলির দাতপুর থেকে উদ্ধার তৃণমূল নেতার দেহ, নেপথ্যে  বিজেপি দাবি শাসক দলের

এটি রাজনৈতিক খুনের ঘটনা কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয় । ( প্রতীকী)

হাইলাইটস

  • আরও এক তৃণমূল নেতার মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বাঁধল
  • মরিশদার বাসিন্দা রীতেশ রায়ের দেহ উদ্ধার হল হুগলি থেকে
  • গত সাত দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন এই তৃণমূল নেতা।
কলকাতা:

আরও এক তৃণমূল  নেতার মৃত্যু  ঘিরে  রহস্য দানা বাঁধল। পূর্ব মেদিনীপুরের মরিশদার বাসিন্দা রীতেশ রায়ের দেহ উদ্ধার হল হুগলি থেকে।  বাড়ি থেকে অনেক দূরে হুগলি দাতপুর থেকে  সোমবার তার দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  গত সাত দিন  ধরে নিখোঁজ ছিলেন এই তৃণমূল নেতা। । দেহ উদ্ধারের পর সেটির ময়না তদন্ত হয়েছে।  দেখা গিয়েছে ওই  রীতেশের  চোখ এবং গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পাশাপাশি  শ্বাসরোধের  কারণেই  তাঁর  মৃত্যু হয়েছে । এই  ঘটনায় বিজেপির হাত দেখছে  তৃণমূল।  ঘটনাস্থলে গিয়ে  রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রীতেশ  ছিলেন  দলের এক  গুরুত্বপূর্ণ  কর্মী। তাঁর রাজনৈতিক  শত্রু থাকাটাই স্বাভাবিক। ঘটনার জন্য  তিনিও যেও  বিজেপিকে দায়ী করেন তা  বোঝাতে  গিয়ে  রাজ্যের এই  পরিবহণ মন্ত্রী বলেন, আগে যারা  সিপিএমের ছত্রছায়ায় থেকে  সন্ত্রাস করত তারা  এখন  বিজেপির হয়ে  সেই এক কাজ  করছে । পুলিশ এই ঘটনার বিস্তারিত  তদন্ত করে দেখুক। এদিকে ঘটনার প্রকৃত তদন্ত দাবি  করেছেন   মৃত নেতার পরিবার।                   

এদিকে শনিবার সন্ধ্যায় খুন হন তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। এই ঘটনায়  দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  এই দুজনের নাম কার্তিক মণ্ডল এবং সুজিত মন্ডল। একই সঙ্গে বিধায়ক খুনের ঘটনায় হাঁসখালি থানার ওসিকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে।  সাসপেন্ড হয়েছেন বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষীও। বিধায়কের একমাত্র  নিরাপত্তারক্ষী তাঁর সঙ্গে  ছিলেন না।  পুলিশের অনুমান নিরাপত্তারক্ষী  যে থাকবেন না এ কথা  জেনেই খুনের ছক করা হয়েছিল। আর সেই মতো সবটা ঘটেছে। তাছাড়া  বার বার লোডশেডিংও  ভাবাচ্ছে  পুলিশকে। খুনের ঘটনায় এফআইআরও দায়ের করেছেন জেলার  তৃণমূল নেতারা। তাতে নাম আছে  মুকুল রায়েরও।  প্রথম  থেকেই এই ঘটনায়  বিজেপির হাত দেখছে তৃণমূল। তবে বিজেপির তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।  মুকুলও বলেছেন এফআইআর করলেই সবটা মিটে যায় না, অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে। তাঁর পাশে  দাঁড়িয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতির দাবি ঘটনার সময় মুকুল  কলকাতায় ছিলেন। তাই তাঁর সঙ্গে মৃত্যুর ঘটনার কোনও যোগাযোগ নেই।                     

 

.