দিল্লিতে দলের সদর দফতরে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান উইলসন চম্প্রামারি।(ফাইল ছবি)
নিউ দিল্লি: সোমবার বিজেপিতে যোগ দিলেন আরও এক তৃণমূল (TMC) বিধায়ক এবং জেলা পরিষদের ১০ জন সদস্য। আর তাতেই উচ্ছ্বসিত গেরুয়া শিবির এবং দলের অন্যতম নেতা মুকুল রায়। সোমবার তাঁদের যোগদানের পরেই তিনি বললেন, “এটা শুধুমাত্র ট্রেলার, এখনও পুরো ছবি বাকি”। তৃণমূল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিবিরে ধাক্কা দিয়ে সোমবার বিজেপিতে যোগ দিলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের কালচিনির তিনবারের বিধায়ক উইলসন চম্প্রামারি (Wilson Champramary) এবং জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা রায়সহ ১০ সদস্য। নয়াদিল্লিতে দলের সদর দফতরে তাঁদের যোগদানের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুকুল রায়, কৈলাশ বিজয়বর্গীয় সহ বিজেপি (BJP) নেতারা। এদিন উইলসন চম্প্রামারির সঙ্গে বিজেপিতে যোগদান করেন জোড়াফুল শিবিরেই অন্যতম নেতা বিপ্লব মিত্রও।
স্বাভাবিক হচ্ছে ভাটপাড়া, তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার ৮
সোমবার তৃণমূল(TMC) নেতাদের বিজেপিতে যোগদানের অনুষ্ঠানেই কৈলাশ বিজয়বর্গীয় আবারও বলেন, লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্বের মতোই সাত দফায় জোড়াফুল শিবিরের নেতাদের পদ্মে (BJP) নেওয়া হবে। তিনি বলেন, “আমি আপনাদের বলেছিলাম সাত দফায় দলে যোগদান করানো হবে। এটা প্রথম দফার বর্ধিত দফা”। মুকুল রায় এদিন বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পতন হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তৃণমূল নেতাদের বিজেপিতে (BJP) যোগদানের “প্রথম দফার বর্ধিত দফা” চলবে।
বিজেপিতে মুকুল-পুত্র, যোগ দিলেন আরও দুই বিধায়ক
মুকুল রায় এদিন বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পতন হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তৃণমূল(TMC) নেতাদের বিজেপিতে যোগদানের “প্রথম দফার বর্ধিত দফা” চলবে। তাঁর কথায়, “সাত দফা যখন শেষ হবে, রাজ্যে তৃণমূল সরকার বলে আর কিছু থাকবে না”।
একদিন আগেই, তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, নিজেদের “আখের” গোছাতেই, বিজেপিতে যোগদান করছেন তাঁর দলের নেতারা। গত সপ্তাহেই মুকুল রায় এবং কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের উপস্থিতিতে জোড়াফুল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে নাম লেখান দুই তৃণমূল বিধায়ক, বিশ্বজিৎ দাস এবং সুনীল সিং, এবং ২৪ জন তৃণমূল কাউন্সিলর।
সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে আসন সংখ্যা কমে তৃণমূলের(TMC), একইসঙ্গে আসন সংখ্যা বেড়ে যায় বিজেপির। ২৩ মে লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরেই, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) নাম লেখান মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু রায় এবং ৬৩ জন কাউন্সিলর। তারপর সেই পথেই হাঁটেন মনিরুল ইসলাম।