প্রধানমন্ত্রী মোদির, “এক দেশ, এক নির্বাচন”, নিয়ে আলোচনার জন্য এই বৈঠক (ফাইল ছবি)
হাইলাইটস
- বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর “এক দেশ, এক নির্বাচন” নিয়ে আলোচনা হবে
- তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে একদিনের আলোচনা যথেষ্ঠ নয়
- এই ভাবনাকে খারিজ করে দিয়েছে বেশীরভাগ বিরোধীরা
কলকাতা: বুধবার নয়াদিল্লিতে সমস্ত দলের সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক, তার আগেরদিন, মঙ্গলবার নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), বিষয়টি নিয়ে এগিয়ে যেতে আলোচনাই যথেষ্ঠ নয় বলে দাবি তাঁর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির(Pm Modi) “এক দেশ, এক নির্বাচন”(One Nation One Election) নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেই বৈঠকেই যোগদানের জন্য দলের সভাপতিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। কয়েকটি বিরোধী দল সরকারের আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশিকে লেখা চিঠিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) লিখেছেন, বিষয়টি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা প্রয়োজন।
লোকসভায় অধীর চৌধুরীই কংগ্রেসের নেতা, শেষ মুহূর্তের কৌশলী বৈঠকে ঘোষণা
চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “এক দেশ, এক নির্বাচনের মতো একটি স্পর্শকাতর ও গুরুতর বিষয় নিয়ে এত কম সময়ে আলোচনা হতে পারে না।বিষয়টি নিয়ে সংবিধান বিশেষজ্ঞ, নির্বাতন বিশারদ এবং সমস্ত দলের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা প্রয়োজন”। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠিতে আরও লেখেন, “বিষয়টি নিয়ে তাড়াহুড়ো করার পরিবর্তে, আমার অনুরোধ, সমস্ত দলের কাছে বিষয়টি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হোক, এবং তাদের যথেষ্ঠ সময় দিয়ে মতামত জানতে চাওয়া হোক। যদি আপনারা এভাবে করেন, তাহলেই আমরা আমাদের মতামত ঠিকভাবে দিতে পারব”।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠিতে উল্লেখ করেন, “আমাদের রাজ্য সমস্ত জেলার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রতি দায়বদ্ধ, সুতরাং অসাম্য হতে পারেনা”।
২১ জুন তেলেঙ্গানায় কালেশ্বরম লিফট প্রকল্পের উদ্বোধন, সেই কাজে ব্যস্ত থাকায় বৈঠকে হাজির থাকতে পারবেন না মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। তবে তাঁর জায়গায় বৈঠকে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে তথা তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি কার্যকরী সভাপতি কেটি রামা রাও।
বুধবারের বৈঠকে আলোচনা নীতি আয়োগসহ বাকি বিষয়গুলিও প্রত্যাখ্যান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এর আগে ৩০ মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান এবং সপ্তাহে নীতি আয়োগের বৈঠকেও যোগ দেন নি কে চন্দ্রশেখর রাও।