বিজেপি দাবি করেছে তাদের কর্মী- সমর্থকদের খুন করেছে তৃণমূল
কলকাতা: বাংলার ভোট-সন্ত্রাসের (Violence In Bengal) অভিযোগ তুলে গোটা নির্বাচনে (Elections 2019) তৃণমূলকে আক্রমণ করে গিয়েছে বিজেপি। ভোটে জিতেও আক্রমণের সেই ধারা বজায় রেখেছে বিজেপি। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi) বলেছেন বাংলায় রাজনৈতিক সন্ত্রাসের (Political Violence) শিকার হচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা। মতাদর্শের জন্য তাঁদের প্রাণ দিতে হচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকে একাধিকবার বিজেপি দাবি করেছে তাদের কর্মী- সমর্থকদের খুন করেছে তৃণমূল। সেই দাবি আবার তোলেন প্রধানমন্ত্রী। লোকসভা নির্বাচনে (General Elections 2019) জিতে বারাণসী (Varanasi) গিয়ে কর্মী – সমর্থকদের সামনে দাঁড়িয়ে সে কথাই বলেন মোদী। এবার এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিল তৃণমূল। প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের দাবি বিজেপির কোনও কর্মীকে খুনের নেপথ্যে তৃণমূলের ভূমিকা নেই। দলের এক প্রবীণ নেতা জানালেন, প্রধানমন্ত্রী যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিজেপির হাতে বাংলায় তৃণমূল অত্যাচারিত। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের ৩০ জন কর্মী খুন হয়েছে।
লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ার পথে এগিয়ে যেতে পারে বিজেপি
বারাণসীতে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় মোদী বলেন, বিজেপি চিরকালই রাজনৈতিক অস্পৃশ্যতা এবং রাজনৈতিক সংঘর্ষের শিকার। এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলের মধ্যে সবচেয়ে গণতান্ত্রিক দল বিজেপি। এবারও বিজেপি বিরাট জয় পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই জয় পেতে অনেক মূল্য চোকাতে হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘কয়েকটি রাজ্যে বিজেপির শয়ে শয়ে কর্মীর প্রাণ গিয়েছে। রাজনৈতিক আদর্শের জন্য তাঁদের জীবন দিতে হয়েছে।
রাজ্য প্রশাসনে বড় রদবদল, স্বরাষ্ট্র সচিব হলেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়
কয়েকটি রাজ্যে রাজনৈতিক অস্পৃশ্যতা বড় আকার ধারন করছে। সে সমস্ত জায়গায় শুধু বিজেপির নাম শুনলেই রাজনৈতিক ভাবে অস্পৃশ্য কওরে দেওয়া হচ্ছে। দেশের রাজনৈতিক মানচিত্রে এ সমস্ত কিছুর ব্যতিক্রম শুধু বিজেপি। বিজেপি কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার কথা বলে পশ্চিমবঙ্গ কাশ্মীর ও কেরালার প্রসঙ্গ তুলেছেন তিনি। এবার বাংলায় ভাল ফল হয়েছে বিজেপির। মোট ৪২ টির মধ্যে ১৮ টি আসন জেতে তাঁরা। তৃণমূল পায় ২২ টি আসন ভোট পর্বে একাধিকবার রাজ্যে এসে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সন্ত্রাস করার অভিযোগ করেন মোদী। সেই দাবিকে অস্বীকার করল তৃণমূল।