মৌসম কংগ্রেসের বড় নেতা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এ বি এ গনি খান চৌধুরির বাড়ির মেয়ে।
হাইলাইটস
- কংগ্রেসকে শেষ করে বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতে চাইছে তৃণমূলঃ সোমেন
- তৃণমূলের বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করার দাবি মিথ্যা, মত প্রদেশ সভাপতির
- তিনি বলেন আগেই রাহুলকে বলেছিলাম মৌসম দল ছাড়তে পারেন
কলকাতা: কংগ্রেসকে শেষ করে বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতে চাইছে তৃণমূল। দলীয় সাংসদ মৌসম বেনজির নূর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর এভাবেই প্রতিক্রিয়া দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি বলেন তৃণমূল রাজ্য এবং দেশে বিজেপি বিরোধিতার দাবি করে। ওরা বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করার কথা বলে কিন্তু সেটা যে মিথ্যা তা আবার প্রমাণ হয়ে গেল। কেউ দল ছেড়ে অন্যত্র যেতে চাইলে তাঁকে আটকানোর কোনও পথ নেই। আমি গত বছরই সভাপতি রাহুল গান্ধীকে বলেছিলাম মৌসমের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলতে। মালদা উত্তরের সাংসদ মৌসম কংগ্রেসের বড় নেতা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এ বি এ গনি খান চৌধুরির বাড়ির মেয়ে। তাঁর তৃণমূলে যোগ দান কংগ্রেসের কাছে বড় ক্ষতি।
আরও পড়ুনঃ মালদায় তৃণমূলের 'বেনজির' সাফল্য, নূরকে দলে নিয়ে মালদায় সংগঠনকে শক্ত করল শাসকদল
কিন্তু কেন দল ছাড়লেন মৌসম? দলীয় সূত্র বলছে তৃণমূলের সঙ্গে জোট করতে চেয়েছিলেন সাংসদ। এটা দলের অনেকরই পছন্দ ছিল না। প্রদেশ নেতারা চান একা লড়ুক কংগ্রেস। কেউ কেউ আবার চান লড়াই হোক সিপিএমের পাশে দাঁড়িয়ে। এতদিন কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতারা তৃণমূলের সঙ্গে সখ্যতা রাখার পক্ষে ছিলেন। মাত্র কয়েকদিন আগে হয়ে যাওয়া বিজেপি বিরোধী সমাবেশেও হাজির ছিলেন রাহুলের দুই প্রতিনিধি। কিন্তু মৌসমের দলত্যাগের পর সেই ব্যাপারটির অবসান চাইছে প্রদেশ কংগ্রেস।
জোট না হওয়াতেই হাত শিবির ছাড়লেন মৌসম। শুধু মৌসম নন পরিবারের আরেক সদস্য মালদা দক্ষিণের সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরিও জোটের পক্ষে। তাঁর দল বদল নিয়েও জল্পনা হয়েছিল আগে। কয়েকদিন আগে তৃণমূল মহাসচিব তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি যান তিনি।
প্রদেশ কংগ্রেসের আরেক নেতা বলেন, আমরা জানতাম মৌসম তৃণমূলের সঙ্গে কথা বলছেন। দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক গৌরব গগৈ জানান, কেন্দ্রীয় নেতারা বিষয়টি জানেন।
গত সাত- আট বছর ধরে কংগ্রেসের জন প্রতিনিধিরা তৃনমূলে যোগ দান করছিলেন ঠিকই কিন্তু কোনও সাংসদের দলত্যাগ আগে কখনও হয়নি।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)