তাঁর বিদায়ের দিন উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী, আশা করেছিলেন রাজ্যপাল কেশরী নাথ ত্রিপাঠী
কলকাতা: তুষ্টিকরণের রাজনীতি করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Chief Minister Mamata Banerjee), সদ্য প্রাক্তন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী এমন বিতর্কিত মন্তব্য করে রাজ্য সরকার তথা তৃণমূল কংগ্রেসের বিরাগভাজন হলেও, তাঁর বিদায়ের দিন রাজভবনে (Raj Bhavan) উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনটাই আশা করেছিলেন বিদায়ী রাজ্যপাল । রবিবার ত্রিপাঠী তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে এ নিয়ে ক্ষোভও ব্যক্ত করেছেন বলে সূত্রের খবর। "মাননীয় রাজ্যপাল ভেবেছিলেন রাজ্য ছাড়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে বিদায় জানানোর জন্য আসবেন... ত্রিপাঠীজি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে এই সৌজন্যতার রাজনীতিটুকু আগে আশা করেছিলেন রাজ্যপাল, কেননা তিনি এই রাজ্যে ৫ বছর কাটিয়েছেন", ওই সূত্রটি পিটিআইকে জানিয়েছে এ কথা।
সামাজিক সম্প্রীতির গায়ে আঁচড় ফেলছে মুখ্যমন্ত্রীর তোষণনীতি: ত্রিপাঠি
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল থাকাকালীন বেশ কয়েকবার বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্য ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের সঙ্গে মতবিরোধ হয় কেশরী নাথ ত্রিপাঠীর। তবে শনিবার বিদায়ী রাজ্যপাল বলে বসেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Chief Minister Mamata Banerjee) তুষ্টিকরণের রাজনীতির ফলে রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। তিনি একথাও বলতে চান যে, মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তাঁর সিদ্ধান্ত কার্যকর করার মতো ক্ষমতা থাকলেও তাঁর উচিত ছিল নিজের মনোভাব ও আবেগকে নিজের বশবর্তী করে রাখা।
যদিও শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কেশরী নাথ ত্রিপাঠীর এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করা হয়। বিরোধী দল সিপিএম ও কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের সদ্য প্রাক্তন রাজ্যপালের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বলে যে অসময়ে এই ধরণের মন্তব্য করলেন তিনি।
কেশরী নাথ ত্রিপাঠী এ রাজ্যে তাঁর নিজের অভিজ্ঞতাকে "অম্ল-মধুর" হিসাবেও বর্ণনা করেন। পাশাপাশি রাজ্যের শিক্ষাব্য়বস্থা ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করতে শোনা যায় রাজ্যের সদ্য প্রাক্তন রাজ্যপালকে (Former West Bengal Governor)।
শহরে এলেন রাজ্যের নয়া রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর
মঙ্গলবারই এ রাজ্যের নয়া রাজ্যপাল হিসাবে শপথ নেবেন জগদীপ ধনকর । এর আগে বিদায়ী রাজ্যপাল (Former West Bengal Governor) কেশরী নাথ ত্রিপাঠীর সম্মানে গত ১১ জুলাই রাজ্য সরকারের তরফে একটি নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সময় কেশরী নাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
তবে রাজ্য ছাড়ার আগে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ না হলেও কেশরী নাথ ত্রিপাঠীকে (Keshari Nath Tripathi) হাওড়া স্টেশনে বিদায় জানাতে রাজ্যের তরফ থেকে উপস্থিত ছিলেন দুই মন্ত্রী অরূপ রায় এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। হাওড়া স্টেশন থেকেই নিজের বাসভূমি এলাহাবাদের দিকে রওনা হন সদ্য প্রাক্তন রাজ্যপাল কেশরী নাথ ত্রিপাঠী।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)