মুখ্যমন্ত্রী জানান যে নগর অঞ্চল ছাড়াও ত্রিপুরার গ্রামীণ অঞ্চলগুলিও অর্থনৈতিকভাবে বিকাশ লাভ করছে
আগরতলা: বিজেপি নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার রাজ্যের অর্থনৈতিক হাল ফেরাতে ধারাবাহিকভাবে যা যা সক্রিয় অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নিয়েছে তাতে অচিরেই ত্রিপুরার মাথাপিছু আয় (per capita income) চলতি অর্থবছরে (২০১৯-২০২০) জাতীয় গড়কে ছাপিয়ে যাবে! এমনটাই দাবি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের (Chief Minister Biplab Kumar Deb)। সরকারি নথি অনুসারে, ত্রিপুরার মাথাপিছু আয় ২০১৮-১৯ সালে ছিল ১,১৩,৪৬৭ টাকা, যেখানে জাতীয় মাথাপিছু আয়ের পরিমাণ ছিল ১,২৫,৩৯৭ টাকা।
"আপনি প্রধানমন্ত্রী নাকি পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত?": শিলিগুড়িতে মোদিকে প্রশ্ন মমতার
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান যে নগর অঞ্চল ছাড়াও ত্রিপুরার গ্রামীণ অঞ্চলগুলিও অর্থনৈতিকভাবে বিকাশ লাভ করছে, এই অঞ্চলের মাথাপিছু আয় যথেষ্ট পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে এই আয়ের পরিমাণ ১,৫০,০০০ ছাড়িয়ে যাবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
বিপ্লব কুমার দেব বলেন, “রাজ্য সরকারের মূল ভূমিকা হ'ল সম্পদের বিষয়ে আত্মবিশ্বাস এবং গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলিতে স্বনির্ভরতা অর্জন।” তিনি স্বনির্ভর গোষ্ঠী (এসএইচজি), সমবায়, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের মাধ্যমে আয়ের উত্সাহ জোগানোর উপরও জোর দিয়েছিলেন। “রাজ্য বিভিন্ন পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করছে যা সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থান বাড়ানোর পথ সুগম করেছে। গ্রামীণ উন্নয়নের ক্ষেত্রে অসামান্য ভূমিকার জন্য ত্রিপুরা বিজেপি শাসনের মাত্র কুড়ি মাসে জাতীয় পর্যায়ে ১৩ টি পুরস্কার পেয়েছিল।"
"হিন্দুত্ব ভোট ব্যাংক" সামলাতে নোংরা রাজনীতি করছে বিজেপি: সীতারাম ইয়েচুরি
মুখ্যমন্ত্রী পল্লী ও উপজাতি অঞ্চলের কর্মসংস্থান ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর পণ্য বাণিজ্যিকীকরণের জন্য কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ নিতেও বলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ এবং সবকা বিশ্বাস' লক্ষ্য অর্জনের জন্য বিজেপি নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার রাজনৈতিক অনুষঙ্গ নির্বিশেষে সকলকে বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে বদ্ধপরিকর।" বর্তমান সরকারের অধীনে রাজ্যের প্রত্যন্ত ও গ্রামাঞ্চলে যারা বাস করছেন তারাও সৌভাগ্য যোজনার মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়েছেন এবং এটিই আসল গ্রাম স্বরাজ এবং সুশাসন; দাবি তার।
রাজ্যের কৃষকদের অর্থনৈতিক সুবিধার্থে বর্তমান সরকার গৃহীত উদ্যোগের কথা তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় উত্পাদিত বিভিন্ন জাতের আনারস এখন দেশ-বিদেশে পরিচিত। বিগত সরকারের উদাসীনতার কারণে আনারস চাষীরা আগে লোকসানের তীব্র সমস্যার মুখোমুখি ছিলেন। বিজেপি সরকার গৃহীত পদক্ষেপের পরেই তারা মুনাফা অর্জন শুরু করেন।"
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)