This Article is From Dec 26, 2019

এনপিআরের পুরানো ভিডিওয় ট্রোলড, পাল্টা ট্যুইট পি চিদাম্বরমের

বিজেপি নেতা অমিত মালব্য একটি ভিডিও ট্যুইট করেন, যেটিতে পি চিদাম্বরমকে জাতীয় জনস্ংখ্যাপঞ্জীর সুবিধা ঘোষণা করতে দেখা গিয়েছে

এনপিআরের পুরানো ভিডিওয় ট্রোলড, পাল্টা ট্যুইট পি চিদাম্বরমের

পি চিদাম্বরম বলেন, “আমরা দেশের ‘স্বাভাবিক বাসিন্দা’দের নাম ঘোষণা করছিলাম”

নয়াদিল্লি:

পি চিদাম্বরম (P Chidambaram) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জী (National Population Register )নিয়ে কথা বলার একটি পুরানো ভিডিও একদিন আগেই ট্যুইট করে বিজেপি, তারপরেই, সরকারের বিরুদ্ধে “ভিন্ন এবং সাংঘাতিকভাবে” জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জী (NPR) আনার অভিযোগ তুললেন পি চিদাম্বরম। বৃহস্পতিবার একাধিক ট্যুইটে পি চিদাম্বরম লেখেন, “বিজেপি শাসিত সরকারের আরও বড় এবং ক্ষতিকর কর্মসূচী রয়েছে., এবং সেইজন্য গতকাল তাদের অনুমোদন করা জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জী ২০২০ এর বিষয় এবং মূল ভাবনা খুবই সাংঘাতিক”। বুধবার বিজেপি নেতা অমিত মালব্য পি চিদাম্বরমের জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জীর সুবিধা সম্পর্কে বলার একটি ভিডিও ট্যুইট করেন, এবং যেহেতু তারা যখন ক্ষমতায় ছিল সেই সময় লঞ্চ করা প্রকল্পের বিরুদ্ধেই তারা এখন পথে, সেইজন্য কংগ্রসের বিরুদ্ধে হিপোক্রিসিরও অভিযোগ তোলে বিজেপি।

পি চিদাম্বরম পাল্টা লেখেন, “আমি খুশি যে ২০১০ সালে এনপিআর চালু করার ভিডিও প্রকাশ করেছে বিজেপি। ভিডিওটি শুনুন। আমরা দেশের ‘স্বাভাবিক বাসিন্দাদের' নাম প্রকাশ করছি। নাগরিকত্ব নয়, জোর দেওয়া হয়েছিল জনসংখ্যার ওপর”।

তিনি বলেন, ‘'স্বাভাবিক বাসিন্দা'' দের নাম জন্মস্থান বা ধর্মের ঊর্দ্ধে উল্লেখ করতেহবে। তিনি ট্যুইটারে লেখেন, “২০১১ জনগণনার প্রস্তুতি হিসেবে এনপিআর করা হয়। সেখানে জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর কোনও উল্লেখ ছিল না”।

দেশের অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী করা হয়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তা অসমে করা হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, নয়া নাগরিকত্ব আইনের সঙ্গে সঙ্গেই এনআরসিতেও মুসলিমদের টার্গেট করা হতে পারে। 

প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লেখেন, “যদি বিজেপির উদ্দ্যেশ্য আন্তরিক হয়, তাহলে সরকার নিঃশর্তে ঘোষণা করুক যে, তারা এনপিআরের ধাঁচকে সমর্থন করে ২০১০ অনুযায়ী, এবং বিতর্কিত এনআরসির সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই”। এনপিআর এবং এনআরসির কোনও যোগ নেই বলে জোর দিয়ে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

যাইহোক, কেরল এবং বাংলা ইতিমধ্যেই জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জীর ওপর কাজ বন্ধ করে দিয়েছে, তাদের আশঙ্কা এনপিআরের তথ্য এনআরসিতে ব্যবহার করে মুসলিমদের টার্গেট করা হবে।

মঙ্গলবার দেশজুড়ে এনপিআর অনুমোদন করে কেন্দ্রীয় সরকার, এই প্রথমবার কোনও ব্যক্তিকে “জন্মতারিখ ও স্থান এবং দুই অভিভাবকেরই নাম” জানাতে হবে। ২০১০ এনপিআরে এই বিষয়টি ছিল না, তা উল্লেখ করেছেন অনেকেই।

জাতীয় নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী, ২৯৮৭ এর জম্ম হওয়া ব্যক্তিদের অন্তত একজন অভিভাবককে নাগরিক হতেই হবে। এনআরসি হলে তবেই জন্মস্থান ও তারিখ এবং দুই অভিভাবকেরই নাম প্রয়োজন হবে বলে মত সমালোচকদের।

নাগরিত্ব আইন অনুযায়ী, এই প্রথমবার নাগরিকত্ব পাওয়ার মাপকাঠি হিসেবে ধর্মকে রাখা হয়েছে। সরকারের দাবি, মুসলিম অধ্যুষিত পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার স্ংখ্যালঘুদের ভারতীয় নাগরিত্ব দেওয়ার পথ সহজ হবে এই আইনে।

.