অবসরে টিভি শো সঞ্চালনার কাজও করেন তিনি। দর্শকদের এগিয়ে আসতে অনুরোধ করেছেন ছাত্রী।
তিরুবনন্তপুরম: তাঁর মাছ বিক্রি করে পড়াশুনো এবং পরিবারের খরচ চালানো সংবাদ শিরোনামে এসেছিল আগেই। কিন্তু কারও কারও মনে হচ্ছিল ব্যাপারটা ঠিক নয়। আর তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসার পাশাপাশি গঞ্জনাও শুনতে হয়েছে হান্নানকে। কিন্তু কেরলের প্রথম বর্ষের এই কলেজ পড়ুয়া কিন্তু দমে যাননি কিছুতেই।
আর এবার তিনি যা করলেন তা দৃষ্টান্ত হয়ে রইল। বন্যা বিধ্বস্ত রাজ্যের মানুষদের সাহায্যের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করলেন দেড় লক্ষ টাকা। পড়াশোনার খরচ চালাতে বহু মানুষের সাহায্যে সেই টাকা তিনি পেয়েছিলেন। এবার দান করলেন সেটাই। আর এভাবেই জবাব দিলেন ‘ট্রোল আর্মিকে’।
হান্নানের বাড়ি কোচিতে। পরিবারে অভাব থাকায় পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল প্রায়। কিন্তু, পড়তে চেয়েছিলেন হান্নান। আর তাই মাছ বিক্রির মতো শ্রমসাধ্য কাজ করতেও পিছপা হননি তিনি। এবার আরও একবার মহানুভবতার পরিচয় দিলেন লুদ্দিকি জেলার এই ছাত্রী। তাঁর কথায়, অনেকের কাছ থেকে এই টাকা পেয়েছিলাম সেটা মানুষের কাজে লাগবে ভেবেই আমি খুশি।
অবসরে টিভি শো সঞ্চালনার কাজও করেন তিনি। দর্শকদের এগিয়ে আসতে অনুরোধ করেছেন ছাত্রী।
শুধু হান্নান নন, এগিয়ে এসেছেন সাজিস নামে এক সরকারি কর্মীও। নিপা ভাইরাসের আক্রমণে মৃত্যু হয় তাঁর স্ত্রীয়ের। তিনি ছিলেন সরকারি হাসপাতালের নার্স। মৃত্যুর পর স্বাস্থ্য দপ্তরে চাকরি পান সাজিস। তিনিও দান করেছেন পঁচিশ হাজার টাকা।
কান্নুর জেলার রহিম অবসর নিয়েছেন অনেকদিন আগে। মাসে মাত্র 600 টাকা পেনশন পান। এগিয়ে এসেছেন তিনিও। হাজার টাকা দান করেছেন অনলাইনে।