সুষমা স্বরাজের পাশে দাঁড়ালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা
কলকাতা: বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের পাশে দাঁড়ালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভিন ধর্মে বিবাহ করা যুবক যুবতীকে সাহায্য করে বিদেশমন্ত্রীকে টুইটারে নানা ভাবে লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়। শুনতে হয় অসংসদীয় শব্দ। এখানেই না থেমে কেউ কেউ এই প্রবীন মন্ত্রীকে মারার কথাও বলেন। এরই তীব্র নিন্দা করলেন মমতা। তাঁর মতে এ ধরনের শব্দের ব্যবহার মোটেই কাম্য নয়। বিদেশমন্ত্রীর হয়ে সওয়াল করতেই টুইটারকেই বেছে নেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লেখেন,' সুষমা স্বরাজের মতো প্রবীন একজন রাজনৈতিক সম্পর্কে যে ভাষা ব্যবহার হচ্ছে তার প্রতিবাদ করছি। আমাদের সকলের উচিত তাঁকে সম্মান করা। এ ধরনের ভাষার ব্যবহারকে কখনও সমর্থন করা যায় না।
বিষয়টির সূত্রপাত কয়েকদিন আগে যখন লখনউয়ের বাসিন্দা এক হিন্দু মহিলার সঙ্গে মুসলমান যুবকের বিয়ে হয়। বিয়ের পর এই দম্পতি পাসপোর্টের আবেদন করলে গোলমাল দেখা দেয় । অভিযোগ ওঠে লখনউয়ের পাসপোর্ট অফিসের এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক তাঁদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছেন। এমন কী ধর্ম পরিবর্তনের প্রস্তাবও দিয়েছেন। খবর প্রকাশ্যে আসতেই জলঘোলা হতে শুরু করে। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন সুষমা। পাসপোর্ট পেয়ে যান ওই দুজন। তাছাড়া অভিযুক্ত অধিকারিককে পদ থেকে সরিয়েও দেওয়া হয়। এরপর থেকেই হেনস্থার শুরু বিদেশমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মুসলিম তোষণের অভিযোগ আনতেও পিছপা হননি কেউ কেউ। বিষয়টি আরও বড় আকার ধারন করে রবিবার। মন্ত্রীর স্বামী স্বরাজ কৌশল একটি ছবি পোস্ট করেন। সেখানে লেখা হয়েছে মুসলিম তোষণের জন্য বিদেশমন্ত্রীকে শিক্ষা দিতে তাঁকে মারা হবে! সক্রিয় হয়ে ওঠেন সুষমা নিজেও। টুইটারে একটি ভোটের আয়োজন করেন তিনি। সেখানে জানতে চাওয়া হয়েছিল এ ধরনের আচরণের বিরোধিতা কতজন করেন। দেখা যাচ্ছে 57 শতাংশ টুইটার ব্যবহারকারী এসবের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন বিরোধিতার এমন পথ রাজনীতির পক্ষে শুভ লক্ষণ নয়। শুধু টুইটার নয় অন্য সমস্ত মহল থেকেও ধ্বনিত হয়েছে প্রতিবাদ। এই প্রথম নয় এর আগে এরকম নানা অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটেছে টুইটার বা ফেসবুকে। কয়েকটি ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া গেলেও বেশির ভাগ সময়ই অপরাধির নাগাল মেলেনি।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)