দ্বিতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর নরেন্দ্র মোদীর (PM Modi) সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan) । নতুন করে দু'দেশের মধ্যে শান্তি স্থাপনের জন্য আলোচনা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। আর এবার আমেরিকার তরফ থেকে ইসলামাবাদকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণ করে দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি স্থাপনের দায়িত্ব পাকিস্তানকে (Pakistan) নিতে হবে। ট্রাম্প প্রশাসনের (Trump Administration) এক কর্তা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন,"আমরা চাই পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের (Terrorism) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক। তাদের দেশের মাটিকে ব্যবহার করে সন্ত্রাসবাদীরা যেভাবে গোটা বিশ্বে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে তা বন্ধ করুক ইসলামাবাদ (Islamabad) । পাকিস্তানের সীমা পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করে যে কাণ্ড সন্ত্রাসবাদীরা ঘটাচ্ছে তা বন্ধের প্রয়োজন রয়েছে আর এই কাজটা করতে হবে পাকিস্তানকেই"।
তিনি বলেন, দু'দেশের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় তার জন্য যা যা করা দরকার তা ধীরে ধীরে করতে চায় আমেরিকা। আমেরিকা চায় এমন কোনও ব্যবস্থা হোক যাতে সন্ত্রাসবাদীদের সমস্ত ক্রিয়া-কলাপ বন্ধ করে দেওয়া যায়। যতক্ষণ না পর্যন্ত সন্ত্রাসবাদীদের সরানো যাচ্ছে ততক্ষণ ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি স্থাপন করা সম্ভব নয়। আর তাই পাকিস্তানকে নিশ্চিত করতে হবে যে তাদের মাটি ব্যবহার করে সন্ত্রাসবাদীরা কোনও রকম ক্রিয়া-কলাপ যেন করতে না পারে।
এদিকে ফেব্রুয়ারিতে কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার ঘটনায় যে সন্ত্রাসবাদীদের হাত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা খতিয়ে দেখছে আমেরিকা। সব সমস্যার সমাধানে নয়াদিল্লির সঙ্গে আলোচনা চায় ইসলামাবাদ, এই বার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লেখেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী । বিসকেকে এসসিও বৈঠকের মাঝে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে বৈঠক হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে ভারত। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তার একদিন পরেই কাশ্মীর সহ অন্যান্য সম্যাগুলি সমাধানে আলোচনা চেয়েছে পাকিস্তান। তাঁর চিঠিতে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে বসার জন্য নরেন্দ্র মোদীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইমরান খান। তিনি বলেন, দুই দেশের দরিদ্রতা দূরীকরণে একমাত্র রাস্তা আলোচনা, পাশাপাশি আঞ্চলিক উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন বলেও ইমরান খান চিঠিতে উল্লেখ করেছেন বলে জিও টিভির খবর।