কোচি বিমানবন্দরের বাইরে দাঁড়িয়েছিল কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী।
কোচি:
শবরীমালার আয়াপ্পা মন্দিরে যাওয়ার পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত রাখলেন সমাজকর্মী ত্রুপ্তি দেশাই। আইনশৃঙ্খলার কারণেই তিনি তাঁর পরিকল্পনা স্থগিত রেখে দিলেন বলে জানা গিয়েছে। কয়েকঘন্টার মধ্যেই পুনে ফিরে যাবেন তিনি। পুনের এই সমাজকর্মী আজ সকালেই সাতজনের একটি দল নিয়ে কোচি বিমানবন্দরে নামেন। কিন্তু, তিনি বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে একটা ট্যাক্সিও ধরতে পারেননি। বিশাল সংখ্যক বিক্ষোভকারীরা বিমানবন্দরের বাইরে দাঁড়িয়ে তাঁর বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিল। তাঁকে বেরোতেই দেওয়া হয়নি। প্রাথমিকভাবে তিনি বেরোতে চাইলেও পুলিশ তাতে বাধা দেয়। ওইভাবে যে এই বিক্ষোভকারীদের মধ্যে দিয়ে যাওয়া এখন তাঁর পক্ষে ঠিক হবে না, তা পুলিশ তাকে জানানোর পর তিনি মানতে বাধ্য হন। "আমরা এখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর জন্য আসিনি", এনডিটিভিকে বলেন ত্রুপ্তি দেশাই। "পুলিশ আমাদের এখন ফিরে যেতে বললেও, তাঁরা কথা দিয়েছেন, পরেরবার যখন আমরা আসব, তখন আমাদের সাহায্য করবেন", বলেন তিনি।
এই স্টোরির এই মুহূর্তের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি তথ্যঃ
ত্রুপ্তি দেশাই জানান, এখন তিনি ও তাঁর দল ফিরে গেলেও এর পরে খুব তাড়াতাড়িই না জানিয়েই চলে আসবেন তাঁরা।
"আমরা হয়তো ফিরে যাচ্ছি। তবে, এটা বিক্ষোভকারীদেরই পরাজয়। আমাদের নয়। আমাদের জন্যই ওঁরা কোচি বিমানবন্দর পর্যন্ত চলে এসেছিলেন। এই ব্যাপারটিকে আমরা আমাদের জয় হিসেবেই দেখছি", বলেন ত্রুপ্তি দেশাই।
সূত্র জানিয়েছে, কোচির বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভের বহর দেখে ত্রুপ্তি দেশাই ও তাঁর দলকে বিমানবন্দরের মধ্যে বেশিক্ষণ থাকতে দিতে দ্বিধায় ছিল।
রিপোর্টে জানা গিয়েছে, পাথানামথিতা জেলার হোটেলগুলিতেও হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা।
আজ সকাল থেকেই বিজেপি ও আরএসএস সমর্থক-কর্মীরা কোচি বিমানবন্দরের বাইরে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে শুরু করে।
অন্যদিকে, শবরীমালায় আয়াপ্পা মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ত্র্যাভাঙ্কোর দেবাস্বোম বোর্ড আজ সুপ্রিম কোর্টে তার রায়কে কার্যকর করার জন্য আরও খানিকটা সময় দেওয়ার অনুরোধ করল।
রাজ্যের বামপন্থী সরকার মন্দির সংলগ্ন অঞ্চলে বিপুল নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে।
সুপ্রিম কোর্ট সেপ্টেম্বর মাসে রায় দেওয়ার পর বহু মহিলা মন্দিরে ঢোকার চেষ্টা করলেও তাদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়।
সুপ্রিম কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এখনও পর্যন্ত মোট ৪৯'টি পিটিশন জমা পড়েছে। যেগুলো নিয়ে শুনানি হবে আগামী ২২ জানুয়ারি।
বৃহস্পতিবার সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিল কেরালার সরকার। যে বৈঠক বয়কট করে দুই বিরোধী দল কংগ্রেস ও বিজেপি।
Post a comment