দিল্লির একটি অনুষ্ঠানে নিজের মত ব্যক্ত করেন উত্তরপ্রদেশের এই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
লখনউ: নিজের আদর্শের দোহাই দিয়ে অস্থিরতা বা সন্ত্রাসের মতো পরিস্থিতি তৈরি করে সরকারকে বিব্রত করা বা দেশকে ভেঙে ফেলার চক্রান্তের চেয়ে বড় কোনও অপরাধ হতে পারে না। এমনটাই মনে করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। কয়েকদিন আগে দেশজুড়ে মানবাধিকার কর্মীদের গ্রেফতারের পর থেকে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। এই ধরনের কাজ করে মোদী সরকার গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু এদিন রাজনাথ জানালেন, সাধারণ নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। কিন্তু দেশ বিরোধী চক্রান্ত করলে ব্যবস্থা নিতে সরকার বাধ্য। পুণের সংঘর্ষের ঘটনায় ধৃতরা একই অভিযোগে এর আগেও গ্রেফতার হয়েছিলেন বলে দাবি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।
দিল্লির একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন বিষয়ে নিজের মত ব্যক্ত করেন উত্তরপ্রদেশের এই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান মাও দমনে সফল ভূমিকা নিয়েছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। আর তাই কৌশল বদলেছে মাওবাদীরা। তারা শহরে সন্ত্রাস করতে চাইছে। কিন্তু, তেমন কিছু করতে দেওয়া হবে না। কথায় কথায় আসে পাকিস্তানের প্রসঙ্গ। সে দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের উদ্দেশে তিনি বলেন, "উনি এতদিন ক্রিকেট মাঠকে শাসন করতেন এখন রাজনীতির ময়দানে কী করেন সেটাই দেখার। আমরা আশা করবো নিজের কাজ শেষ করার জন্য যা যা করা দরকার সবই করবেন ইমরান।"
সাংবাদিকরা শিবসেনা এবং বিজেপির মধ্যে তৈরি হওয়া দূরত্ব নিয়ে জানতে চান। জবাবের বিজেপির এই প্রাক্তন সভাপতি বলেন, "সব পরিবারেই অশান্তি হয়। কিন্তু, আমি বিশ্বাস করি, শিবসেনা শেষমেশ এনডিএতেই থাকবে।"
মোদী সরকার নাকি সোশ্যাল মিডিয়ায় লাগাম পরাতে চাইছে। কে কী লিখছে তার উপর নজরদারিও চলছে। এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে রাজনাথ বলেন, কোনও মাধ্যমকে ব্যবহার করে কেউ যদি বিভ্রান্তি ছড়ায় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সরকারের দায়িত্ব। আর সেটা যথাযথ ভাবে পালন করা হবে বলে তিনি জানান।