সংসদে বক্তব্য রাখছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি। (ফাইল চিত্র)
হাইলাইটস
- সংসদে রাহুল গান্ধিকে "টিউব লাইট" কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রীর
- বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর বক্তৃতা দেন নরেন্দ্র মোদি
- সেই সময় বলতে ওঠেন রাহুল, টিপ্পনী কেটে "টিউব লাইট" মন্তব্য করেন তিনি
নয়াদিল্লি: সংসদে চলছে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর বিতর্ক। বুধবার ও বৃহস্পতিবার সেই বিতর্কে অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর সেই ভাষণের মধ্যেই বলতে ওঠেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি (leader Rahul )। সেই সময় নাম না করে কংগ্রেস সাংসদকে "টিউব লাইট" (tube-lights remark ) কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, "আমি প্রায় ৩০-৪০ মিনিট ধরে বলছি, কিন্তু সেই কারেন্ট বিরোধী শিবিরে পৌঁছতে এতক্ষণ সময় লাগলো। অনেক টিউব লাইট আছে, যেগুলো জ্বলতে বেশি সময় নিয়ে ফেলে।" প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর ট্রেজারি বেঞ্চে হাসির রোল ওঠে। এদিন রাহুল গান্ধির সাম্প্রতিক মন্তব্যকেও কটাক্ষের সুরে বিঁধেছেন নরেন্দ্র মোদি। দিল্লি বিধানসভার নির্বাচনী প্রচারে ওই কংগ্রেস সাংসদ বলেছিলেন, ছ'মাসের মধ্যে আমরা প্রধানমন্ত্রীকে লাঠিপেটা করবো।
রাম জন্মভূমি নিয়ে আজও সমস্যা থেকেই যেত কংগ্রেসের পথে চললে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, "গত ৭০ বছরে কোনও কংগ্রেস নেতা এত স্বনির্ভর ছিলেন না। আমি এক কংগ্রেস নেতার ইস্তেহার শুনলাম। সেই ইস্তেহারে বলা, আমরা ছ' মাসের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে লাঠিপেটা করবো। সত্যি বলতে এটা একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া, তাই প্রস্তুতি সারতে ছ'মাস সময় লাগবে।" এই কথাতেও হাসির রোল ওঠে ট্রেজারি বেঞ্চে।
RBI Policy: রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখল আরবিআই, ২০২০-২১ সালে বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৬%
তিনি আরও বলেছেন, একপক্ষে ভালো এই ৬ মাস আমি আরও বেশি করে সূর্য নমস্কার করে নিজেকে তৈরি করে নিতে পারবো। আমি নিজেকে গালি-নিরোধ আর ডাণ্ডা-নিরোধ বানিয়ে ফেলতে পারবো।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সংসদে কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জানালেন, যদি তাঁর সরকার গত ৭০ বছরের পথকে অনুসরণ করেই চলত, তাহলে ৩৭০ ধারার বিলুপ্তি কিংবা তিন তালাকের মতো পদক্ষেপ করা সম্ভব হত না। পাশাপাশি অযোধ্যার সমস্যা আজও অসমাপ্তই থেকে যেতে। বিরোধীদের ব্যাঙ্গ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘এই কারণেই সরকার তাড়াহুড়ো করে এই কাজগুলি করেছে।'' জম্মু ও কাশ্মীর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘দেশ একটা নতুন মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে চায়। এবং তাই আমরা আজ এখানে পৌঁছেছি। আপনারা যেখানে ছিলেন আমরা তার থেকে এগিয়ে গিয়েছি। যদি আমরা সেই পথে চলতাম যে পথে আপনারা চলে এসেছেন, তাহলে এমনকী ৭০ বছর পরেও ৩৭০ ধারা বিলুপ্ত হত না।''