এক মহিলা কাউন্সিলারকে অপহরণের মামলায় বনগাঁ পুরসভার দুই বিজেপি কাউন্সিলারের আগাম জামিন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট। অপহরণের মামলায় অভিযুক্ত ওই দুই কাউন্সিলার সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। গ্রেফতারির আশঙ্কায় কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন হিমাংশু মণ্ডল এবং কার্তিক মণ্ডল। তাঁদের রাজনৈতিক অবস্থানের জন্যই “সাজানো” মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ওই দুই কাউন্সিলার। ২০,০০০ টাকার ব্যক্তিগত বণ্ডে তাঁদের জামিন মঞ্জুর করে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি এম মণ্ডলের ডিভিশন বেঞ্চ। একদিন অন্তর, দুই কাউন্সিলারকে তদন্তকারীদের সঙ্গে দেখা করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
বনগাঁ পুরসভার ২২ জন কাউন্সিলরের মধ্যে তৃণমূলের ১১ জন কাউন্সিলার বিজেপিতে যোগ দেন। এর ফলে সেখানে আস্থা ভোট হয়। অভিযুক্ত দুই বিজেপি কাউন্সিলারের আইনজীবী আদালতে অভিযোগ করেন, বিজেপির দুই কাউন্সিলর হিমাংশু মণ্ডল ও কার্তিক মণ্ডলকে আস্থা ভোটে, ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। আস্থা ভোটের পর, তৃণমূল দাবি করে, জয়ী হয়েছেন তাঁরা। ১০ জন সদস্যের ভোট পড়েছে চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যের পক্ষে। অন্যদিকে, বিজেপির ১১ জন কাউন্সিলার এবং দুই অভিযুক্ত কাউন্সিলার অভিযোগ করেন, তাঁদের আস্থা ভোটে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। ১৬ জুলাই বনগাঁ পুরসভায় আস্থা ভোট হয়। আস্থা ভোটকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বনগাঁ পুরসভা।
২২ সদস্যের বনগাঁ পুরসভায় বিজেপির কাউন্সিলারের সংখ্যা ১১, তৃণমূলের ১০ জন এবং একজন সিপিআইএম কাউন্সিলার রয়েছেন। ১৬ জুলাই আস্থা ভোটকে কেন্দ্র করে অশান্তি ছড়ায় বনগাঁয়। বোমাবাজি এবং সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি। পুলিশ এবং কয়েকজনের বিরুদ্ধে, তাঁদের ভোট দিতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ১১ জন বিজেপি কাউন্সিলার। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূলের আনুগত্যেই তাঁদের বাধা দিয়ে আদালত অবমনাননা করা হয়েছে।
মে মাসে সমাপ্ত হওয়া লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে ভাল ফল করেছে বিজেপি। ৪২ আসনের মধ্যে ১৮টি আসনে জিতেছে বিজেপি, ২২ আসনে ফুটেছে জোড়াফুল। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে মাত্র দুটি আসনে পাপড়ি মেলেছিল পদ্মফুল, ৩৪ আসনে জিতেছিল বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনে ভাল ফল করতেই বিজেপিতে যোগদান করেছেন অনেক কাউন্সিলার, নেতা।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)