This Article is From Mar 08, 2019

'কাশ্মীরি' হওয়ার জন্যে মার খাওয়া দুই ফল বিক্রেতা ফের ফিরে এলেন লখনউ-এর রাস্তায়

আব্দুল সালাম নামের অন্যতম নিগৃহীত এনডিটিভিকে জানালেন, "পুলিশ আমাদের প্রচুর সাহায্য করেছে", বিক্রির টাকা গুনতে গুনতে বলছিলেন তিনি।

ফের লখনউ-এর রাস্তায় নিজেদের পসরা সাজিয়ে বসলেন দুই নিগৃহীত কাশ্মীরি ফল বিক্রেতা।

লখনউ:

দু'দিন আগেই তাঁদের দুজনকে ভয়াবহভাবে পেটানো হয়েছিল লাঠি দিয়ে। পিটিয়েছিল একটি ডানপন্থী সংগঠনের সদস্যরা। যাদের পরনে ছিল গেরুয়া কুর্তা এবং মুখে ছিল উগ্র জাতীয়তাবাদী স্লোগান। ওই দুই ব্যক্তির 'অপরাধ' ছিল একটাই, তাঁরা জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দা। শুকনো ফল বিক্রি করতে এসেছিলেন লখনউতে। ঘটনার দু'দিন বাদে ফের লখনউয়ের রাস্তায় ফলের পসরা সাজিয়ে বসলেন তাঁরা। যদিও তাঁরা যে জায়গাটিতে আগে বসতেন, সেই ডালিগঞ্জে শুক্রবার বসেননি। বসেছিলেন অল ইন্ডিয়া ডেমোক্র্যাটিক উওমেন'স অ্যাসোসিয়েশনের তৈরি অস্থায়ী মার্কেটে। আগামীকাল তাঁরা নিজেদের জায়গায় ফিরে যেতে পারবেন বলে আশা করছেন। আব্দুল সালাম নামের অন্যতম নিগৃহীত এনডিটিভিকে জানালেন, "পুলিশ আমাদের প্রচুর সাহায্য করেছে", বিক্রির টাকা গুনতে গুনতে বলছিলেন তিনি।

বড়সড় রদবদলের পথে ভারতীয় সেনা, সবুজ সংকেত দিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী

তাঁর বন্ধু মুস্তাক বললেন, "আমি গত ২২ বছর ধরে লখনউতে আসছি। লখনউয়ের মানুষ আমাদের খুব ভালোবাসেন। আমরা বাড়ি ফিরে যাওয়ার থেকে এখানে থেকে যাওয়াই বেশি নিরাপদ বলে মনে করছি"।

লখনউয়ের রাস্তায়  তাঁদের আক্রমণ করে ডানপন্থী সংগঠনের কয়েকজন সদস্য। তাদেরই একজন মারধরের ভিডিও শেয়ার করেছে। গোটা ঘটনায় নিন্দার ঝড় বইছে নেট দুনিয়ায়। মধ্য লখনউয়ের ডালিগঞ্জ এলাকায়  বুধবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছিল।  ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে গোটা ঘটনাটি ধরা পড়েছে।  সেখানে একজনকে বলতে শোনা যাচ্ছে ওই দুই ব্যবসায়ীকে মারা হচ্ছে কারণ তারা কাশ্মীরের বাসিন্দা। দেখতে চাওয়া হয়েছে আধার কার্ড। মারধরের ঘটনা দেখে স্থানীয়রা ওই দুই ব্যবসায়ীকে রক্ষা করতে আসেন।  ডানপন্থী সংগঠনের সদস্যদের রুখে দিয়ে ওই দুজনকে উদ্ধার করেন তারা । এই ঘটনায়  এখনো পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত নিজেকে বিশ্ব হিন্দু দল নামে একটি সংগঠনের সভাপতি হিসেবে তুলে ধরে।  যাতে উত্তেজনা ছড়াতে না পারে তার জন্য ভিডিওটিকে ফেসবুক থেকে  সরিয়ে নেওয়া হয়েছে

.