Read in English
This Article is From Mar 06, 2020

মহিলা স্বনির্ভরতায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত! নারীশক্তি পুরস্কার নেবেন কেরলের দুই আম্মা

একজন শতায়ু, অপরজন ৯৬। বয়সের ভারে ন্যুব্জ হলেও মহিলা স্বনির্ভরতায় উজ্জ্বল কেরলের ভাগীরথী আম্মা আর কার্তিয়ানি আম্মা।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

ওই দুই বৃদ্ধার হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন রাষ্ট্রপতি।

তিরুবনন্তপুরম :

একজন শতায়ু, অপরজন ৯৬। বয়সের ভারে ন্যুব্জ হলেও মহিলা স্বনির্ভরতায় (Women Empowerment) উজ্জ্বল কেরলের ভাগীরথী আম্মা আর কার্তিয়ানি আম্মা। অনন্য এই কীর্তি স্থাপনের জন্য ২০১৯-এর নারী শক্তি পুরস্কার পাচ্ছেন এই দুই আম্মা (Two Kerala Granny)। কেন্দ্রীয় সরকার, ভাগীরথী আর  কার্তিয়ানি আম্মাকে নির্বাচিত করেছে মহিলা স্বনির্ভরতায় অবদান রাখার জন্য। রবিবার, ৮ মার্চ, আন্তর্জাতিক নারী দিবসে ওই দুজনকে সম্মানিত করবেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (President Ram Nath Kovind)। নারিদের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান হিসেসব প্রদান করা হয় এই নারীশক্তি সম্মান (Narishakti Award)। সম্প্রতি এই দুই আম্মার কীর্তি মন কি বাত অনুষ্ঠানে উল্লেখ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঠিক কী করেছেন এই দুই বৃদ্ধা, যার জন্য কেরল থেকে দিল্লিতে ডাক পড়ল? জানা গিয়েছে, কেরল সাক্ষরতা মিশনের অধীনে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ এই দুই আম্মা। ২০১৯-এ চতুর্থ স্রেনি পাস করেন কোল্লামের শতায়ু ভাগীরথী আম্মা। পেয়েছেন দেশের প্রবীণ পড়ুয়ার খেতাব। অন্যদিকে আলাপুঝার কার্তিয়ানি আম্মা কেরলের সাক্ষরতা মিশনের 'অক্ষর লক্ষম' পরীক্ষায় ১০০-এর মধ্যে ৯৮ পেয়ে ২০১৮ সালে অনন্য কীর্তি গড়েছেন। 

রবীন্দ্রভারতীর দোলে খোলা পিঠে আবিরে লেখা অপশব্দ, '...চাঁদ উঠেছিল গগনে' গানে নাচ!

এভাবে সফল হয়ে রাজ্যের অন্য মহিলাদের দিশা দেখিয়েছেন কার্তিয়ানি আম্মা। তাঁর পথে হেঁটে আরও অনেক মহিলা নিজেদের স্বাক্ষর প্রতিপন্ন করতে ওই মিশনে নাম লিখিয়েছেন। কেন্দ্র থেকে ইতিমধ্যে আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়ে ৮ মার্চ রাষ্ট্রপতি ভবনে উপস্থিত হতে ওই দুজনকে অনুরোধ করা হয়েছে। 

মিটল ভুল বোঝাবুঝি, ফের একসঙ্গে দেব-অনিকেত-কবীর সুমন

ভাগীরথী আম্মা নাতি-নাতনিদের দিয়ে ঘোর করলেও পড়াশোনায় ঝোঁক ছিল। সবসময় চেষ্টা করতেন নিজেকে সমৃদ্ধ করতে। কিন্তু ছোটবেলায় মা মারা যাওয়াতে পরিবারের বড় সন্তান হিসেবে সংসারের দায় এসে বর্তায় তাঁর ঘাড়ে। ৩০ বছর বয়সেই ৬ সন্তানের জননী হিসেবে আরও বড় দায়িত্ব পালনে ব্রতী হয়েছিলেন ভাগীরথী আম্মা। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী কেরলে অসাক্ষরের সংখ্যা ছিল প্রায় ১৮.৫ লক্ষ। তাই রাজ্য থেকে অশিক্ষা দূর করতে এই সাক্ষরতা মিশন চালু কোরে কেরল সরকার। মূলত প্রান্তিক জনগণ, জেলে, আদিবাসী ও বস্তিবাসীদের মধ্যে বহুল জনপ্রিয় হয় এই প্রকল্প। এদিকে কেরল সরকার সূত্রে খবর, ভগ্ন স্বাস্থ্যের কারণে দিল্লি যেতে পারছেন না ভাগীরথী আম্মা। তবে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে পরিবারের কাউকে পাঠাতে ইচ্ছাপরকাশ করেছেন ওই শতায়ু বৃদ্ধা। এদিকে, শুক্রবার দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন কার্তিয়ানি আম্মা। 



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
Advertisement
Advertisement