অবিরাম বৃষ্টিতে ঝাড়গ্রাম পৌরসভার 7 থেকে 8টি ওয়ার্ড জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
বাঁকুড়া:
প্রবল বৃষ্টিতে বাঁকুড়ার জুনবেড়িয়াতে ভেঙে পড়ল বাড়ি। এই দুতলা বাড়ির পাশেই আছে একটি খাল। সেটি সোজা গিয়ে পড়ে গন্ধেশ্বরী নদীতে। নদীর জল বাড়াতেই সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বাড়িটিতে বসবাস করতেন বেশ কয়েকজন। তবে সময় থাকতে থাকতে তাঁদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়। এদিকে বাঁকুড়া ও মানকানালির মধ্যে যোগাযোগ প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। দুটি জায়গার মধ্যে সংযোগকারী রাস্তা জলের তলায় চলে যাওয়াতেই তৈরি হয়েছে সমস্যা।
শুধু বাঁকুড়া শহরই নয় গোটা জেলার অবস্থাই বেশ খারাপ। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে রবিবার রাত থেকে সোমবার রাতের মধ্যে এখানে বৃষ্টির পরিমাণ
200 মিলিমিটারেরও বেশি। কোনও কোনও এলাকার পরিস্থিতি প্রায় বন্যার মতো। বাঁকুড়া দুই, মেজিয়ার মতো ব্লকের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। টানা বৃষ্টিতে মোট 663 বাড়ি ভেঙেছে। তার মধ্যে 52টি পুরোপুরি ভেঙে গিয়েছে। পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকায় দুটি ত্রাণ শিবির খুলেছে প্রশাসন। তাছাড়া জমা জোল থেকে যাতে রোগ না ছড়ায় তাও নিশ্চিত করতে চাইছে প্রশাসন।
এদিকে,অবিরাম বৃষ্টিতে ঝাড়গ্রাম পৌরসভার ৭ থেকে ৮টি ওয়ার্ড জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। জল জমেছে অন্য কয়েকটি ওয়ার্ডেও। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল হওয়াতেই এই পরিস্থিতি । কিন্ত সমস্যা নিয়ে পৌরসভার কাছে একাধিকবার অভিযোগ নিয়েও সুরাহা হয়নি। কিন্তু সে কথা মানতে চাননি পৌরপ্রধান শিবেন্দ্র বিজয় মল্লদেব। তাঁর দাবি, " কয়েকটি ওয়ার্ড জলের তলায় চলে গিয়েছে। কিন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার আপ্রাণ চেষ্টা চলছে। তাছাড়া নিকাশি ব্যবস্থা সংস্কারের চেষ্টাও চালানো হচ্ছে। "