অনশন প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ করেছেন উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার।
কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনশন মঙ্গলবার চতুর্থ দিনে পা দিল। ভর্তি প্রক্রিয়ায় রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে আন্দোলন শুরু হয়েছে যাদবপুরে। পড়ুয়াদের দাবি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের চাপের কাছে নতিস্বীকার করে কলা বিভাগের ছটি বিষয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলেও সিদ্ধান্ত বদলেছে বিশ্ববিদ্যালয়। এই দাবিকে সামনে রেখে 6 জুলাই থেকে অনশনে বসেছেন কলা বিভাগের জনা কুড়ি পড়ুয়া। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। শারীরিক পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় হাসসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে দুই পড়ুয়াকে।
এই দুজনের শরীরে একাধিক সমস্যা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, ' ওই দুজন পড়ুয়ার শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। বাকিদেরও সুগার লেভেল নীচের দিকে নামছে বলে ওঁদের অনশন প্রত্যাহার করতে অনুরোধ জানিয়েছি।' রেজিস্ট্রারের মতো উপাচার্য সুরঞ্জন দাসও একই অনুরোধ করেছেন পড়ুয়াদের। কিন্ত এখনই অনশন প্রত্যাহারের ভাবনা নেই আন্দোলনকারীদের। এক পড়ুয়া জানিয়েছেন, না খেয়ে থাকলে শরীর খারাপ হবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্ত আমরা মনের জোরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি, আগামী দিনেও চালাব। অন্য এক পড়ুয়া বলেছেন , বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেই আন্দোলন শেষ হবে। তার আগে আন্দোলন প্রত্যাহারের কোনও প্রশ্নই ওঠে না।
পড়ুয়াদের অনড় মনোভাব দেখে ফের একবার ইসি মিটিং করা হবে বলে শোনা যাচ্ছে। কয়েকদিন আগে এই ইসিতেই ঠিক হয় কলা বিভাগের বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, তুলনামূলক সাহিত্য, রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং দর্শনে প্ৰৱেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি করা হবে না। দ্বাদশ শ্রেণির নম্বরের ভিত্তিতেই খুলবে যাদবপুরের দরজা। এই কথা বলার মাত্র কয়েদিন আগে ঠিক উল্টো পথে হেঁটেছিল যাদবপুর। প্রবেশিকা পরীক্ষা আয়োজনের প্রাথমিক কাজও হয়ে গিয়েছিল।
এখানেই আপত্তি পড়ুয়াদের। আর তাঁদের নিশানায় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। পড়ুয়ারা বলছে শিক্ষামন্ত্রীর কথা রাখতেই পাল্টেছে নিয়ম। এটা ঘটনা শিক্ষামন্ত্রী গত কয়েকদিনে একাধিক বার প্রবেশিকা পরীক্ষা প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন। তাঁর যুক্তি একই বিশ্ববিদ্যালয়ে দুরকমের ভর্তি প্রক্রিয়া থাকে কী করে ? আপাতত এই জটেই আটকে যাদবপুর। দুপক্ষই নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকায় বের হচ্ছে না কোনও রফা সূত্র। চলছে আন্দোলন।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)