কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপকে মঙ্গলবার তাদের সমর্থন জানাল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি।
৩৭০ ধারা (Article 370) বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের (J&K) ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস' (Spiceial Status) তুলে দিয়ে রাজ্যকে দু'টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপকে মঙ্গলবার তাদের সমর্থন জানাল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (UAE)। এছাড়াও কয়েকটি দেশ এবং রাষ্ট্রসঙ্ঘের পাঁচ সদস্যের প্রতিরক্ষা কাউন্সিলকে এব্যাপারে জানানো হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির রাষ্ট্রদূত ড. আহমেদ আল বান্না জানিয়েছেন, ‘‘রাজ্যের পুনর্গঠন স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে কোনও ব্যতিক্রমী ঘটনা নয় এবং এটা মূলত করা হচ্ছে আঞ্চলিক বৈষম্য দূর করে উন্নতির লক্ষ্যে। ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী এটি একটি অভ্যন্তরীণ বিষয়।'' মুসলিম অধ্যুষিত আরব অঞ্চলের সংযুক্ত আরব আমিরশাহির থেকে এমন প্রতিক্রিয়া নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ।
‘‘আমি চিকিৎসক নই'': ফারুক আবদুল্লা সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে অমিত শাহ
স্থানীয় নেতাদের দাবি, এই পদক্ষেপের পিছনে কারণ হল মুসলিম অধ্যুষিত রাজ্যটিকে নিয়ন্ত্রণে আনা। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নীরবতা ভেঙে জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা রদ নিয়ে টুইট রাহুল গান্ধির
সোমবার সংবিধানের ৩৭০ ধারা, যার দৌলতে জম্মু ও কাশ্মীর পেয়েছিল ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস', তা বাতিল হয়ে যায় রাষ্ট্রপতির এক নির্দেশনামার মাধ্যমে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়ে দেন, এই বিল অনুযায়ী জম্মু ও কাশ্মীর দু'টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত হবে। একটি জম্মু ও কাশ্মীর, যার আইনসভা থাকবে। অন্যটি লাদাখ, যার কোনও আইনসভা থাকবে না।
সোমবার বিলটি রাজ্যসভায় পাস হয়ে যাওয়ার পর মঙ্গলবার নিম্নকক্ষে সেটি পেশ করা হয়। বিলটিকে নিয়ে প্রভূত বিতর্ক তৈরি হলেও সরকার যেহেতু এখানে সংখ্যাগুরু তাই বিলটি পাস হয়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।