Read in English
This Article is From Aug 02, 2019

UAPA Bill 2019: সংসদে পাশ হল বিতর্কিত ইউএপিএ সংশোধনী বিল

শুক্রবার সংসদে পাস হল ইউএপিএ সংশোধনী বিল, ২০১৯ (UAPA Bill 2019)। সন্ত্রাস-বিরোধী এই বিলের পক্ষে পড়েছে ১৪৭টি ভোট। বিপক্ষে পড়েছিল ৪২টি ভোট।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

UAPA Bill 2019: সংসদে পাস হল ইউএপিএ সংশোধনী বিল, ২০১৯।

Highlights

  • সংসদে পাস হল ইউএপিএ সংশোধনী বিল, ২০১৯
  • বিলের পক্ষে পড়েছে ১৪৭টি ভোট
  • খসড়া বিল রাজ্যসভায় বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিল
নয়াদিল্লি:

শুক্রবার সংসদে পাস হল ইউএপিএ সংশোধনী বিল, ২০১৯ (UAPA Bill 2019)। সন্ত্রাস-বিরোধী এই বিলের পক্ষে পড়েছে ১৪৭টি ভোট। বিপক্ষে পড়েছিল ৪২টি ভোট। বিলের পক্ষে ভোটাভুটি শুরু আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদের কোনও ধর্ম নেই, সন্ত্রাসবাদীরা মানবতার বিরোধী। সকলের উচিত এর বিরুদ্ধে আইন আরও কড়া করাকে সমর্থন করা।'' বর্তমান চালু আইনের সঙ্গে যে সংশোধন চাইছিল কেন্দ্রীয় সরকার তা হল, প্রয়োজনে ব্যক্তিবিশেষকেও সন্ত্রাসবাদী হিসেবে ঘোষণা করা যাবে। গত ২৪ জুলাই এই বিল পাস হয়ে গিয়েছিল।

এই বিলের অপব্যবহার হতে পারে, বিরোধীদের এমন দাবির প্রসঙ্গ তুলে অমিত শাহ বলেন, মানবাধিকার যাতে লঙ্ঘিত না হয়, তার জন্য একটি চতুর্স্তরীয় পর্যবেক্ষণের কথা সংশোধনীতে বলা হয়েছে।

অমিত শাহ বলেন, ‘‘ব্যক্তিবিশেষকে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে চিহ্নিত করা খুব প্রয়োজনীয়। কেননা ওরা একটি গোষ্ঠীকে নিষিদ্ধ করলেই নতুন গোষ্ঠী তৈরি করছে।''

Advertisement

খসড়া বিল রাজ্যসভায় বাধাপ্রাপ্ত হয়। বিরোধীদের দাবি ছিল এটিকে নির্বাচন কমিটির কাছে পাঠাতে হবে।

লোকসভায় শেষবার বিতর্কের সময় বহু বিরোধী নেতা, যাঁদের মধ্যে ছিলেন তৃণমূলের সাংসদ মহুয়া মৈত্রও, আপত্তি তুলেছিলেন এই বিলের ব্যাপারে। তাঁদের বক্তব্য ছিল, এই সংশোধনীর ফলে এর অপব্যবহার হতে পারে। দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোর পক্ষে এই বিলকে বিপজ্জনক বলে দাবি করেন তাঁরা।

Advertisement

মহুয়া মৈত্র বলেছিলেন, ‘‘যদি কেন্দ্র কাউকে টার্গেট করতে চায়, তারা তাঁকে ধরতে পারবে কোনও আইনের সাহায্যে। বিরোধী নেতারা, সংখ্যালঘু, মানবাধিকার কর্মী এবং অন্যরা যদি সরকার আমাদের উপরে যে দেশ সম্পর্কিত ধারণা আরোপ করতে চাইছে, তার সঙ্গে সহমত না হন তাহলে বিরোধীরদের ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে জাতীয়তাবিরোধী বলে চিহ্নিত হওয়ার। ''

ইউএপিএ সংশোধনী বিল আইনে পরিণত হলে সবার প্রথমে যে দু'জনকে সন্ত্রাসবাদী বলে চিহ্নিত করা হবে তারা হল মাসুদ আজহার ও হাফিজ সঈদ। ২০০৮ মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ সঈদ। অন্যদিকে সম্প্রতি পুলওয়ামায় হওয়া হামলা এবং ২০০১ সালে সংসদে জঙ্গি হানার পিছনে ছিল আজহারের মস্তিষ্ক।

Advertisement