ক্ষমতা ধরে রাখতে রাজ্যপালের উপরেই নির্ভর করতে হচ্ছে উদ্ধব ঠাকরেকে।
মুম্বই: মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রী ৫৯ বছরের উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) রাজ্যের মসনদে থাকবেন কিনা তা এখন নির্ভর করছে রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারির উপরে। এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীসভার দু'টি সুপারিশ উপেক্ষা করেছেন। গত বছরের অক্টোবরে মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন সম্পন্ন হয়। সেই নির্বাচনে উদ্ধব ঠাকরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। তাঁর দল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পেয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়। পরে বিজেপির সঙ্গে তিন দশকের জুটি ভেঙে বেরিয়ে আসে তারা। কংগ্রেস ও শরদ পাওয়ারের এনসিপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে গঠন করে সরকার। মন্ত্রী হতে গেলে বিধানসভার সদস্য হতে হবে দায়িত্বগ্রহণের ছ'মাসের মধ্যে। উদ্ধব ঠাকরের ছ'মাসের সেই সময় শেষ হচ্ছে আগামী ২৮ মে।
“ব্যাঙ্ক জালিয়াতদের শীর্ষ তালিকায় বিজেপির বন্ধুরা”, বললেন রাহুল গান্ধি
শাসক জোটের সিদ্ধান্ত ছিল উদ্ধব উচ্চ কক্ষে যোগ দেবেন এপ্রিলের নির্বাচনে জিতে। কিন্তু লকডাউনের ফলে নির্বাচনের সময় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
এখন তাই বিধানসভার সদস্য হতে গেলে রাজ্যপালের দ্বারা আইন পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হতে হবে। রাজ্যপালের ক্ষমতা রয়েছে ১২ জনকে এই পরিষদের জন্য নির্বাচিত করার। পরিষদে দু'টি আসন এই মুহূর্তে খালি রয়েছে। মন্ত্রিসভা চাইছে, উদ্ধব ঠাকরের নাম সেই দু'জনের একজন হিসেবে ঘোষণা করুন রাজ্যপাল।
ফের সাধু হত্যা! এবার যোগীর রাজ্যে দুই সাধুকে তলোয়ার দিয়ে খুন, গ্রেফতার তফশিলি জাতির ব্যক্তি
রবিবার মহারাষ্ট্র বিধানসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে উদ্ধব ঠাকরে বলেন, ‘‘নির্বাচন আসবে চলে যাবে। কখনও কেউ ক্ষমতায় আসবে, কেউ ক্ষমতা হারাবে। ক্ষমতা আসে ও চলে যায়। কিন্তু একবার আমরা জীবন হারালে তা আর ফিরে আসবে না। এই নিয়ে আমাদের রাজনীতি করা উচিত নয়।'' তিনি তাঁর নির্বাচন নিয়ে কথা না বললেও তাঁর মন্তব্য থেকে এর ইঙ্গিত খোঁজা যেতেই পারে।
মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার জানিয়েছেন, গত ৯ এপ্রিল মন্ত্রিসভার নেওয়া সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তাঁরা রাজ্যপালকে জানিয়েছেন এবং উদ্ধব ঠাকরেকে আইন পরিষদের সদস্য করে নেওয়ার জন্য তাঁকে অনুরোধ করেছেন। কিন্তু ১৮ দিন অতিক্রান্ত হলেও রাজ্যপাল এখনও এই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেননি।
আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্যপাল মন্ত্রিসভার এই পরামর্শ মানতে কার্যত বাধ্য।